বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
ফলে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনায় আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। দুদিন পর ৯ মে অধ্যাদেশ জারি করা হয়। ফলে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ তৈরি হয়।
আইনটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ কে এম আসিফুল হক গত ২৩ আগস্ট একটি রিট করেন। রিটের ওপর ২৩ নভেম্বর শুনানি শেষে আজ আদেশ দেয়া হয়। আদালতে রিটের পক্ষে আবেদনকারী নিজে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ।
পরে বশির উল্লাহ বলেন, আদালত রুল না দিয়ে রিটটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন। প্রতিবেশী দেশ ভারতে ভার্চ্যুয়াল কোর্ট আরও আগেই চালু হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও ভার্চ্যুয়াল কোর্ট চলছে। করোনা মহামারিকালে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া বিচারপ্রার্থীদের কাছে বিচার পৌঁছে দেয়া জরুরি। যে কেউ চাইলে ভার্চ্যুয়াল আদালতের কার্যক্রম দেখতে ও শুনতে পারেন বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়।
রিট আবেদনকারী এ কে এম আসিফুল হক বলেন, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।