করোনার ভয়াবহতা ঠেকাতে সরকারে ১১ দফা নির্দেশনানুযায়ী ভাড়া না বাড়ালে, অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চালানোর সরকারি সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ চট্টগ্রামের গণপরিবহন মালিকেরা।
তাদের দাবি, অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালাতে হলে ভাড়ার হার কমপক্ষে ৬০ শতাংশ বাড়াতে হবে। নইলে গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়ারও ইঙ্গিত দিচ্ছেন তারা।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন মালিক গ্রুপের মহাসচিব বেলায়েত হোসেন বলেন, যদি অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলতে হয়, তাহলে বলব ভাড়া আগের মতো ৬০ শতাংশ বাড়ানো হোক।
তিনি আরও বলেন, বিআরটিএ বলেছে, শনিবার থেকে এটা কার্যকর করতে। আমরা শনিবার বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেব কি করব।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ১১ ডিসেম্বর থেকে গণপরিবহনে হাফ ভাড়া কার্যকর
চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু বলেন, সরকারি বিধিনিষেধের প্রতি আমরাও আন্তরিক। এর আগে লকডাউনের সময় প্রতি সিটে একজন করে যাত্রী বহন করে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হয়। এতে মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও দেশের স্বার্থে তা মেনে নিয়েছিল। এবারও সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন সচল রাখতে হলে পূর্বের সিদ্ধান্ত কার্যকর করে সিট প্রতি একজন ও ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্তে আসতে হবে। অন্যথায় রাস্তায় গাড়ি নামানো আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা চাই না সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ুক। তাই সরকারের উচিত আমাদের দিকটাও বিবেচনা করা।
এর আগে গতকাল নির্দেশনার পর থেকেই ভাড়া বাড়ানোর জন্য সরকারের ওপর চাপ দেয়া শুরু করেন বাস মালিকরা। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) গতকাল সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে, বাসভাড়া না বাড়িয়ে যাত্রী পরিবহনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান বাস মালিকরা। তারা জানান, সরকার যদি দাবি না মানেন,প্রয়োজনে বাস চালাব না।
আরও পড়ুন: গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট
গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিতে প্রজ্ঞাপন চায় ক্যাব