ভাড়া
ঈদযাত্রা: গাজীপুরে যানবাহনের বাড়তি চাপ, বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ যাত্রীদের
সকাল থেকেই মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নানা শ্রেণি-পেশার ঘরমুখো মানুষের ভিড় রয়েছে এবং যানবাহনেরও চাপ রয়েছে অনেক বেশি। যদিও গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর অংশের পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো রয়েছে।
মহাসড়কে যানবাহনের চলাচল স্বাভাবিক রাখতে চান্দনা চৌরাস্তা, ভোগড়া বাইপাস মোড়, বোর্ড বাজার, স্টেশন রোডসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েনসহ নানা পরিকল্পনা করে সার্বক্ষণিক সড়ক মনিটরিং করা হচ্ছে।
অতিরিক্ত সংখ্যক যাত্রীর তুলনায় কোনো কোনো রুটের যানবাহন কম রয়েছে। তাই নির্ধারিত গন্তব্যে যেতে অনেকেরই দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আর এই সুযোগে বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: আইজিপি
তারা বলছেন, নির্ধারিত গন্তব্যে যেতে বাসের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এই সুযোগে পরিবহন শ্রমিকরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর, নেত্রকোণাসহ বিভিন্ন রুটে প্রায় দেড় গুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। ২০০ টাকার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা।
বেশি ভাড়া দিতে রাজি না হয়েও অনেকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে ভাড়া দামাদামি করতে দেখা গেছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন যে এবারের ঈদ যাত্রায় এই মহাসড়কের যানবাহন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিন শিফটে এক হাজার ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি এপিবিএন সদস্য ও রোভার স্কাউট মোতায়েন রয়েছে। আনফিট গাড়ি যাতে না চলাচল করতে পারে সেজন্য বিশেষভাবে খেয়াল রাখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কয়েকটি টো-ট্রাক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কোনো গাড়ি অচল হয়ে গেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে সারানোর জন্য ব্যবস্থা রয়েছে।
ভাড়া বেশি নেওয়ার খবর পেলেও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রার প্রথম দিন ছিল স্বস্তিদায়ক: জাতীয় কমিটি
১ বছর আগে
সব যানবাহনে ভাড়া বাড়লেও ট্রেনের ভাড়া বাড়েনি: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, সাধারণ মানুষের আরামদায়ক চলাচলের কথা চিন্তা করে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানো হয়নি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এটা সেবামূলক। তাই সব যানবাহনে ভাড়া বাড়লেও একমাত্র ট্রেনের ভাড়া বাড়েনি।
আরও পড়ুন: দুর্দিনে সহায়তার জন্য আপনাদের পাশে সরকার রয়েছে: রেলমন্ত্রী
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশনের মধ্যবর্তী লেভেলক্রসিং গেট টি২ এবং টি১ পর্যন্ত ডাবল লাইন প্রকল্প পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ট্রেন চলাচল বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা থেকে পদ্মা লিংক প্রজেক্টের জন্য ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আমার মনে হয় এক দুই মাসের মধ্যে এ কাজ শেষ হয়ে যাবে। তখন আমরা ট্রেন খুলে দিতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, আজকের পরিদর্শনের মূল বিষয় হচ্ছে সমন্বয়ের কিছু বিষয়। বিশেষ করে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কিছু জায়গা ফার্স্টগেট থেকে স্টেশন পর্যন্ত। ডাবল লাইন প্রকল্পে কিছু জায়গা শর্ট পড়ছিল। এছাড়া সড়কের কিছু অংশ যদি রেললাইনের দাগে আসে তাহলে এ অসুবিধাটা আর হয় না। এগুলো দেখে বাস্তবে এমন ধারণা ছিল যে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সেটা দেখতেই এখানে আসা।
মন্ত্রী বলেন, থিওরিটিকালি এ কাজটি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। আমার মনে হয় সেটা হবে না। এ রেললাইন নারায়ণগঞ্জের মানুষের জন্যেই হচ্ছে। এ ডাবল লাইন হলে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০টি ট্রেন চলতে পারবে। আমি মেয়রকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি এসেছেন এখানে। আমরাও মাঠের কর্মী। জনগণের সমস্যা সমাধানে আমরা এখানে এসেছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও জেলা-মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: জুনের মধ্যে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন চালু হবে: রেলমন্ত্রী
জুনের মধ্যে কক্সবাজারে রেললাইন চালু হবে: রেলমন্ত্রী
১ বছর আগে
মেট্রোরেলের ভাড়া ৩০ শতাংশ কমানোর দাবি আইপিডি’র
মেট্রোরেলকে গণপরিবহন হিসেবে কার্যকর করতে এবং পর্যাপ্ত যাত্রী নিশ্চিত করতে ভাড়া ৩০ শতাংশ কমানোর দাবি জানিয়েছে ইনস্টিটিউট অব প্লানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি)। এছাড়া মেট্রোস্টেশনের সঙ্গে বহু মাধ্যমভিত্তিক পরিবহন গড়ে তোলার ব্যাপারে মত দিয়েছেন তারা।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) আইপিডি আয়োজিত ‘রাজধানীর টেকসই পরিকল্পনায় মেট্রোরেল: প্রেক্ষিত ও করণীয়' শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ দাবি জানিয়ে আলোচকরা মতামত পেশ করেন।
আলোচকরা বলেন, ঢাকার যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থায় মেট্রোরেল এর সংযোজন তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, যদি সাধারণ গণমানুষের জন্য এটার ভাড়া সাশ্রয়ী এবং মেট্রো স্টেশনে আসা যাওয়ার পথকে সুগম করা হয়। মধ্যবিত্তরাই এই গণপরিবহন বেশি ব্যবহার করবে। ফলে মেট্রোরেলের পর্যাপ্ত যাত্রীসংখ্যা নিশ্চিত করতে মেট্রোরেলের ভাড়া ৩০ শতাংশ কমানো দরকার এবং মেট্রোলাইনকে কেন্দ্র করে বহুমাধ্যমভিত্তিক সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন।
তারা আরও বলেন, মেট্রো স্টেশনগুলোর আশেপাশে পথচারী চলাচল, বাস-প্যারা টানজিট-কমিউনিটি ভিত্তিক সার্ভিস, সিএনজি-রিকশা-ব্যক্তিগত গাড়ি প্রভৃতি বাহনগুলোর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ কিভাবে মেট্রো স্টেশনে আসবে বা স্টেশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যাবে সে ব্যাপারে কার্যকর পরিকল্পনার মাধ্যমে মেট্রোরেলের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
‘আইপিডি পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পর্যালোচনা’ অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা ও পরিবহন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলেন, এ বছর মেট্রোরেলের উদ্বোধন করা হলেও আগামী বছর উত্তরা থেকে আগারগাঁও হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত এমআরটি ছয় লাইনের পুরোটা চালু হয়ে গেলে বিপুলসংখ্যক যাত্রীকে মেট্রোরেলের মাধ্যমে দ্রুত পরিবহন করা যাবে, যা নগরের পরিবহন ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে। পাশাপাশি মেট্রোরেলকে সাধারণ জনগণের পরিবহন হিসেবে গড়ে তুলতে নিম্ন মধ্যবিত্ত, ন্যূনতম আয় শ্রেণি ও ছাত্রদের জন্য ৫০ ভাগ ভাড়ার ব্যবস্থা করা এবং পাঁচ বছর পর্যন্ত বয়সীদের জন্য বিনা ভাড়ায় মেট্রো পরিবহনের ব্যবস্থা করবার দাবি করা হয় আইপিডি’র পক্ষ থেকে।
অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধে আইপিডি’র পক্ষ থেকে ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক পরিকল্পনাবিদ ড.আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তনের পাশাপাশি মেট্রোরেল ভূমি ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনার ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখবে।
মেট্রোরেলের কারণে স্টেশনের আশেপাশের এলাকার ভূমি ব্যবহারের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে, যার আলামত ইতোমধ্যেই উত্তরা থেকে আগারগাঁও এলাকায় চোখে পড়ছে। মেট্রোরেলের কারণে এই এলাকার ভূমির মূল্য বেড়ে গেছে এবং নতুন নতুন আবাসন প্রকল্পে তৈরি হচ্ছে। বৈশ্বিকভাবেই এই ধরনের রূপান্তর প্রক্রিয়ায় মেট্রোরেল হওয়ার আগে যে ধরনের এবং যে আয়শ্রেণির লোকেরা এই সকল এলাকায় ইতোপূর্বে বসবাস করত, তারা নতুন ও তুলনামূলক উঁচু আয় শ্রেণির মানুষ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়, নগর পরিকল্পনার ভাষায় যাকে বলে হয় ‘জেনট্রিফিকেশন’ বা বসবাসকারী জনসংখ্যার শ্রেণি পরিবর্তন। ফলে নগর পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় সঠিক নীতি কৌশল প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও যথাযথ উন্নয়ন নজরাদারি প্রয়োজন, যেন এই জেনিট্রিফিকেশন তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং মেট্রোরেলের সুফল সকল আয়-শ্রেণির মানুষ পেতে পারে ও সার্বিক জনকল্যাণ নিশ্চিত করা যায়। পাশাপাশি ‘বেটারমেন্ট ফি বা ভূমির উন্নয়ন ফি’ আরোপের মাধ্যমে মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যয় পুনরুদ্ধার, স্টেশন প্লাজা নির্মাণের মাধ্যমে মেট্রো স্টেশনকে কার্যকর করা, মেট্রো করিডোরের দুই পাশে ‘ইন্টিগ্রেটেড করিডোর ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান’ তৈরি করা, মেট্রো স্টেশনের ৫০০ মিটার এর মধ্যে টেকসই ও অন্তর্ভূক্তিমূলক ‘ভূমি ব্যবহার ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা’ তৈরির প্রস্তাব করা হয় আইপিডি’র পক্ষ থেকে।
পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ, উপদেষ্টা, ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি) ও অধ্যাপক, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বলেন, মেট্রোরেল ঢাকাবাসীকে সুশৃংখল গণপরিবহনের নতুন স্বাদ এনে দিবে। মেট্রোরেলের আশেপাশের পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য ছোট ছোট প্লট একত্রীকরণ বা ল্যান্ডকনসোলিডেশন করবার উদ্যোগ নেয়া দরকার।
মেট্রোরেল চালু হলে যত্রতত্র পোস্টার লাগানো বন্ধ করা, স্টেশন অপরিচ্ছন্ন করা এবং যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা না ফেলার জন্য মেট্রোব্যবহারকারীদের অনুরোধ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: টিকিট কাটা থেকে শুরু করে আসনব্যবস্থা: ঢাকা মেট্রোরেলে প্রথম ভ্রমণের আগে যা জানা দরকার
রাজউক এর নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ঢাকার শহরের অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে মেট্রো ব্যবস্থা অনিবার্য হয়ে পড়েছিল। তবে মেট্রোরেলকে কার্যকর করতে মেট্রোর পাশাপাশি সমন্বিত উপায়ে বাস সার্ভিস চালু করা এবং স্টেশনগুলোতে পর্যাপ্ত পদচারী সুবিধা ও গাড়ি পার্কিং সুবিধা রাখা প্রয়োজন। পাশাপাশি ঢাকার বিকেন্দ্রীকরণ করতে ঢাকার সঙ্গে কাছাকাছি দূরত্বের আঞ্চলিক শহরগুলোর দ্রুতযোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলতে হবে। টিওডি ডেভেলপমেন্ট ও স্টেশন প্লাজার কার্যকর উন্নয়ন ও ব্যবহার নিশ্চিত করেমেট্রোরেলের ব্যয় পুনরুদ্ধার করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম – পরিচালক, ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি) বলেন, মেট্রো স্টেশনের ৫০০ মিটার এর মধ্যে ভবনের আকার-আয়তন-ব্যবহার সুনির্দিষ্টকরণ করা দরকার, যেন এলাকাভিত্তিক জনসংখ্যা, উন্নয়নের মাত্রা এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট এলাকার জন্য টেকসই ও এলাকার ভারবহন ক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। মেট্রো স্টেশনের ৫০০ মিটার প্রভাব বলয়ে বেসরকারি এপার্টমেন্ট ও ফ্ল্যাট প্রকল্পে বাধ্যতামূলক সাশ্রয়ী আবাসনের মাধ্যমে নিম্নবিত্তদের জন্য আবাসনের সুযোগ বৃদ্ধি করা দরকার।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ এবং মেট্রোরেল সংশ্লিষ্ট ট্রানজিট ওরিয়েন্টেড ডেভেলপমেন্ট (টিওডি) প্রকল্পের পরামর্শক ড. আফসানা হক বলেন, মেট্রোরেলের আশেপাশের ভূমি ব্যবহার এবং স্টেশনপ্লাজাকেন্দ্রিক পরিকল্পনার যে উদ্যোগ এখন নেয়া হচ্ছে, তাকয়েক বছর আগেই শুরু করা প্রয়োজন ছিল। এক্ষেত্রে সন্নিহিত নেইবারহুড বা পাড়া-মহল্লার বৈশিষ্ট্য ও ধরন অনুযায়ী স্টেশনগুলোর ডিজাইনে বৈচিত্র্য ও ভিন্নতা আনা দরকার।
উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ মো. রেদওয়ানুর রহমান বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই মেট্রোরেল চালাতে রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি দেয়া লাগে। বাংলাদেশে মেট্রোরেলে ভর্তুকীর পরিমাণ কমাতে এবং যাত্রীদের জন্য ভাড়া সহনীয় ও সাশ্রয়ী করতে মেট্রো স্টেশনে বিজ্ঞাপন এলাকা ও বাণিজ্যিক এলাকা সুনির্দিষ্ট করে লিজ দেয়াসহ বিভিন্ন আয়বর্ধক কর্মসূচি নেয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন:মেট্রোরেলের ভাড়া ৫০% কমানোর দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
মেট্রোরেলকে কার্যকর করতে ও ঢাকার টেকসই পরিকল্পনায় আইপিডি’র পক্ষ থেকে নিম্নের আরও কয়েকটি প্রস্তাব দেয়া হয়:
- টিওডি নীতিমালা তৈরি করবার ক্ষেত্রে ‘লো ইমপ্যাক্ট ডেভেলপমেন্ট’ নীতি অনুসরণ করা যেন নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষকে ট্রানজিট স্টেশনের আশেপাশে ধরে রাখা যায় এবং জেনট্রিফিকেশন প্রভাব সীমিত মাত্রায় রাখা যায়- মেট্রো করিডোর এ মাঝারি ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সুরক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা তৈরি করা
- টিওডি ডিজাইন করার সময় সাশ্রয়ী আবাসন ও সামাজিক আবাসনকে অন্তর্ভূক্ত করা
- আরএসটিপি রিভিশন প্রকল্পে ঢাকার জন্য ব্যয় সাশ্রয়ী, অর্থনৈতিক ও পরিকল্পনাগতভাবে উপযোগিতার নির্মোহ বিচার বিশ্লেষণপূর্বক ঢাকার ভবিষ্যত যোগাযোগ পরিকল্পনার পথনকশা তৈরি করা
- মেট্রো রেল নির্মাণে অন্য দেশের তূলনায় আমাদের ব্যয় কেন কয়েকগুণ বেশি হল, সেটা বিশ্লেষণপূর্বক ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রকল্পে ব্যয় সাশ্রয়ী নীতিমালা গ্রহণ করা
- যোগাযোগ পরিকল্পনায় বিদেশি পরামর্শক নির্ভর প্রকল্প ও সম্ভাব্যতা যাচাই প্রকল্প থেকে সরে এসে দেশীয় বিশেষজ্ঞদের নেতৃত্বে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন
- ঢাকার যোগাযোগ পরিকল্পনার সঙ্গে ভূমি ব্যবহার ও নির্মিত এলাকার ভৌত বৃদ্ধি ও ব্যবহারের ধরনকে সমন্বয় করে সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা। এক্ষেত্রে আন্তঃসংস্থা সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে।
- টঙ্গী-এয়ারপোর্ট-বনানী-তেজগাঁও-কমলাপুর-নারায়ণগঞ্জ এই রেল করিডোরে কমিউটার সার্ভিস চালু করে বিশালসংখ্যক যাত্রী পরিবহনের ব্যবস্থা করা
- ঢাকার আশেপাশে আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য যোগাযোগ অবকাঠামো হিসেবে ব্যয়সাশ্রয়ী লাইট র্যাপিড ট্রানজিট (এলআরটি)কে বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ
- বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং ঢাকার পরিবেশগত দূর্যোগপূর্ণ অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে যোগাযোগ সংশ্লিষ্ট মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়নে ‘ধীরে চলো নীতি’ অনুসরণ ও বিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার সাহস, আন্তরিকতা, দৃঢ় ইচ্ছা মেট্রোরেল বাস্তবায়নে সহায়তা করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- যোগাযোগ সংশ্লিষ্ট বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্প নেয়ার আগে পেশাজীবী, অংশীজন ও সাধারণ জনগণের মতামত নেয়া
- মেট্রোরেল নির্মাণসহ যেকোন ধরনের যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণে ঢাকার পরিবেশগত প্রভাব, জনভোগান্তি, ঢাকার ভারবহন ক্ষমতা, নির্মাণ কাজের জনস্বাস্থ্যগত প্রভাব এবং সার্বিক অর্থনৈতিক, পরিবেশগত ও পরিকল্পনাগত উপযোগিতার নির্মোহ বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রকল্প নির্ধারণ করা।
আইপিডি অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মো. মিজানুর রহমান, ডেপুটি আরবান প্ল্যানার, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ, (ডিটিসিএ); পরিকল্পনাবিদ এটিএম শাহজাহান, সহকারী অধ্যাপক, চটগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; মো. আসাদুজ্জামান, যোগাযোগ ও ভূমি ব্যবহার বিশেষজ্ঞ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ উত্তরা ও মিরপুর এলাকার নাগরিকরা।
আরও পড়ুন:মেট্রোরেল: বিশেষায়িত ইউনিট গঠন না হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা দেবে ডিএমপি
১ বছর আগে
লঞ্চ ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে কমল ১৫ পয়সা
নৌযানের যাত্রীভাড়া হ্রাস করে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১৫ পয়সা কমানো হয়েছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এতে বলা হয়, নৌযানের যাত্রীভাড়া কমানোর ফলে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বের জন্য জনপ্রতি যাত্রীভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ৩ টাকা থেকে ১৫ পয়সা কমিয়ে ২ টাকা ৮৫ পয়সা এবং প্রথম ১০০ কিলোমিটারের অধিক দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারে জনপ্রতি যাত্রীভাড়া ২ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১৫ পয়সা কমিয়ে ২টাকা ৪৫ পয়সাপুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লঞ্চ ভাড়া ৩০ শতাংশ বাড়ল
এছাড়া জনপ্রতি যাত্রীভাড়া সর্বনিম্ন ৩৩ টাকা থেকে ৩ টাকা হ্রাস করে ৩০ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত মাসে নৌযানে যাত্রীভাড়া পুনর্নির্ধারণের ফলে বর্তমানে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বের জন্য জনপ্রতি যাত্রীভাড়া প্রতি কিলোমিটারে রয়েছে ৩ টাকা।
১০০ কিলোমিটারের অধিক দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারের যাত্রীভাড়া রয়েছে ২ টাকা ৬০ পয়সা।
জনপ্রতি যাত্রীভাড়া রয়েছে সর্বনিম্ন ৩৩ টাকা।
২০২১ সালে নৌযানে যাত্রীভাড়া পুনর্নির্ধারণ করায় ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারের যাত্রীভাড়া ছিল ২ টাকা ৩০ পয়সা।
১০০ কিলোমিটারের অধিক দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারের যাত্রীভাড়া ছিল ২ টাকা।
জনপ্রতি সর্বনিম্ন ভাড়া ছিল ২৫ টাকা।
এর আগে ২০১৩ ও ২০১২ সালে নৌযানের যাত্রীভাড়া পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
আরও পড়ুন: লঞ্চের ভাড়া বাড়াতে ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হয়েছে: সচিব
চাঁদপুরে নির্মাণ হবে আধুনিক লঞ্চ টার্মিনাল
২ বছর আগে
জাহাজ ও ফেরি ভাড়া ২০ শতাংশ বাড়াল বিআইডব্লিউটিসি
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) সংস্থাটির যাত্রীবাহী জাহাজ ও ফেরি সার্ভিসের ভাড়া ২০ শতাংশ বাড়িয়েছে। রবিবার থেকে এ নতুন ভাড়া কার্যকর হবে।
বৃহস্পতিবার বিআইডব্লিউটিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: মাস্ক না পরায় বিআইডব্লিউটিসির কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘১৯ জুন সকাল ৬টা থেকে যাত্রীবাহী জাহাজসহ সব ধরনের যানবাহনের জন্য এ ভাড়া কার্যকর হবে।’
২ বছর আগে
ভাড়া না বাড়ালে সরকারি নির্দেশনা মানবে না চট্টগ্রামের বাস মালিকরা
করোনার ভয়াবহতা ঠেকাতে সরকারে ১১ দফা নির্দেশনানুযায়ী ভাড়া না বাড়ালে, অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চালানোর সরকারি সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ চট্টগ্রামের গণপরিবহন মালিকেরা।
তাদের দাবি, অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালাতে হলে ভাড়ার হার কমপক্ষে ৬০ শতাংশ বাড়াতে হবে। নইলে গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়ারও ইঙ্গিত দিচ্ছেন তারা।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন মালিক গ্রুপের মহাসচিব বেলায়েত হোসেন বলেন, যদি অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলতে হয়, তাহলে বলব ভাড়া আগের মতো ৬০ শতাংশ বাড়ানো হোক।
তিনি আরও বলেন, বিআরটিএ বলেছে, শনিবার থেকে এটা কার্যকর করতে। আমরা শনিবার বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেব কি করব।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ১১ ডিসেম্বর থেকে গণপরিবহনে হাফ ভাড়া কার্যকর
চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু বলেন, সরকারি বিধিনিষেধের প্রতি আমরাও আন্তরিক। এর আগে লকডাউনের সময় প্রতি সিটে একজন করে যাত্রী বহন করে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হয়। এতে মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও দেশের স্বার্থে তা মেনে নিয়েছিল। এবারও সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন সচল রাখতে হলে পূর্বের সিদ্ধান্ত কার্যকর করে সিট প্রতি একজন ও ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্তে আসতে হবে। অন্যথায় রাস্তায় গাড়ি নামানো আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা চাই না সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ুক। তাই সরকারের উচিত আমাদের দিকটাও বিবেচনা করা।
এর আগে গতকাল নির্দেশনার পর থেকেই ভাড়া বাড়ানোর জন্য সরকারের ওপর চাপ দেয়া শুরু করেন বাস মালিকরা। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) গতকাল সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে, বাসভাড়া না বাড়িয়ে যাত্রী পরিবহনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান বাস মালিকরা। তারা জানান, সরকার যদি দাবি না মানেন,প্রয়োজনে বাস চালাব না।
আরও পড়ুন: গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট
গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিতে প্রজ্ঞাপন চায় ক্যাব
২ বছর আগে
বরিশালে অর্ধেক ভাড়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম
নৌযানসহ সকল গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক ভাড়া নিশ্চিত, নৌবন্দরের ঘাটের টিকিট মওকুফ ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা।
রবিবার সকাল ১০টায় নগরীর সদর রোডে বরিশালের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন শেষে নগরীর সদর রোড ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ করে রাখে। পরে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন।
আরও পড়ুন: নিরাপদ সড়কের দাবিতে শাহবাগে শিক্ষার্থীদের কফিন মিছিল
এসময় উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থী সুজয় শুভ, বিএম কলেজের সংগঠক কিশোর চন্দ্র বালা, বিএম কলেজের শিক্ষার্থী প্রদীপ কুমার দাস রাহুল ও বরিশাল কলেজের ছাত্র রিফাত প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির মধ্যে সকল গণপরিবহনের ভাড়া বেড়েছে। ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই নৌযানসহ সকল গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক ভাড়া নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি নৌবন্দরে প্রবেশে ঘাট টিকিট মওকুফ ও নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নের দাবি জানান। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া বিষয়ে সিদ্ধান্ত রবিবার
১১ দাবি নিয়ে আবারও সড়কে শিক্ষার্থীরা
২ বছর আগে
অর্ধেক ভাড়ার দাবিতে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্ধেক ভাড়া নেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন রাজধানীর ঢাকা কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার ঢাকা কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন তারা। এ সময় তারা বেশ কয়েকটি কোম্পানির বাস আটকে রাখেন।
পরবর্তীতে পুলিশের আশ্বাসে আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করেন তারা।
এর আগে ১৬ নভেম্বর বিকালে কলেজ থেকে বাসে করে বাসায় ফেরার সময় অর্ধেক ভাড়া দিতে চাইলে ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে হয়রানি করেন চালক ও সহযোগী। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, বাসে এ ধরনের ঘটনা প্রায়শই ঘটে থাকে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতেই মূলত আন্দোলনে সরব হওয়ার কথা জানান বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তামিম নামে ঢাকা কলেজের মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের এক সহপাঠীকে বাসে হয়রানি করা হয়। বাসের চালকের সহযোগীরা আমাদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত অর্ধেক ভাড়া নিতে চায় না। বরং তারা আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে। এ জন্য আমরা অর্ধেক ভাড়ার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করি।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি: ২ দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
পরবর্তীতে নিউ মার্কেট থানার ওসি বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ান। তবে তাদের দাবি মানা না হলে আগামী শনিবার বা রবিবার আবারও আন্দোলনে নামার কথা জানান ঢাকা কলেজের এ শিক্ষার্থী।
আন্দোলন চলাকালে ঢাকা কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস শিকদার শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা করেন।
এ বিষয়ে জানতে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ ম কাইয়ুমের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। আর বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন বলে জানিয়েছেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ আই. কে. সেলিম উল্লাহ খোন্দকার।
এর আগে ১৫ নভেম্বর রাজধানীর ইম্পেরিয়াল কলেজের এক ছাত্রকে গলাধাক্কা দিয়ে বাস থেকে ফেলে দেয়ার প্রতিবাদে রামপুরায় রাইদা পরিবহনের অন্তত ৫০টি বাস আটকে রাখেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। পরে পরিচয়পত্র দেখানো সাপেক্ষে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নেয়ার দাবি মেনে নেয় রাইদা বাস কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: যাত্রীরা ট্রেনে যেতে না পারায় স্টেশনে বিক্ষোভ
চট্টগ্রামে কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার, এলাকাবাসীর বিক্ষোভ
৩ বছর আগে
গণপরিবহনে ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ যাত্রী কল্যাণ সমিতির
প্রতি কিলোমিটারে ডিজেলচালিত বাসের ভাড়া ২৭ শতাংশ বৃদ্ধির সরকারি সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি (জেকেএস)।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে গণপরিবহন মালিকদের ডাকা ধর্মঘটের প্রেক্ষিতে রবিবার ঢাকায় বাস মালিকদের সাথে বৈঠকের পর ভাড়া বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। সোমবার থেকে নতুন ধার্য করা এই বাড়া কার্যকর হবে।
সরকার ভাড়া বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়ার পর শুক্রবার সকাল থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছে বাস মালিকেরা।
এক বিবৃতিতে জেকেএস’র মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, নতুন ধার্যকৃত বাড়তি ভাড়ার বিরুদ্ধে নেওয়া প্রতিবাদ কর্মসূচীর বিষয়ে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
বিবৃতিতে জেকেএস আরও জানায়,সরকার কোনও পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই অবৈধভাবে ডিজেল এবং কেরোসিনের দাম ২৩ শতাংশ বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন:ডিজেল চালিত বাস ও মিনিবাসের ভাড়া বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন
বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার, ভাড়া বাড়ছে
দ্বিগুণ ভাড়ায় চট্টগ্রাম মহানগরীতে বাস চলাচল শুরু
৩ বছর আগে
‘গলাকাটা’ ভাড়া নির্ধারণ করা হলে প্রতিহত করার ঘোষণা যাত্রী কল্যাণ সমিতির
যাত্রীদের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে ‘গলাকাটা’ ভাড়া নির্ধারণ করা হলে তা প্রতিহত করা হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
বিবৃতিতে মোজাম্মেল হক অভিযোগ করে বলেন, সরকার গণশুনানি ছাড়া ‘অবৈধ’ পন্থায় ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। এই অজুহাতে বাস-ট্রাক ও লঞ্চ মালিকরা বর্ধিত মূল্যের কয়েক গুণ বাড়তি ভাড়া লুটে নেয়ার জন্য পরিবহন ধর্মঘটের নামে জনগণকে জিম্মি করেছে। এছাড়া ডিজেল চালিত যানবাহনের পাশাপাশি সিএনজি,অকটেন ও পেট্রোল চালিতসহ সকল প্রকার যানবাহন ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।
বাস ও লঞ্চ মালিকদের পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে সরকার তাদের চাহিদা অনুযায়ী একচেটিয়া ভাড়া বাড়িয়ে দিতে যাত্রী প্রতিনিধি বাদ দিয়ে বাস ও লঞ্চের ভাড়া বৃদ্ধির আয়োজন করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ন্যায্য, গ্রহণযোগ্য, বাস্তবসম্মত, আদায়যোগ্য ভাড়া নির্ধারণের জন্য বাস ও লঞ্চ মালিক এবং সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব।
এছাড়া যাত্রী প্রতিনিধিদের বাদ দিয়ে সরকার ও মালিকদের ভাড়া বৃদ্ধির চেষ্টার প্রতিবাদে সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিছার বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করবে সংগঠনটি।
আরও পড়ুন: বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার, ভাড়া বাড়ছে প্রায় ২৮ শতাংশ
ডিজেলের দাম বেড়েছে তাই গাড়ি বন্ধ, এটা ধর্মঘট নয়: শাহাজাহান খান
পরিবহন ধর্মঘটের তৃতীয় দিন: দুর্ভোগে যাত্রীরা
৩ বছর আগে