বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন যে অন্য কোনো দেশ অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুললে তা ভিয়েনা কনভেনশনের লঙ্ঘন বলে তারা মনে করেন না।
তিনি বলেন যে তারা তাদের কথা শোনে এবং যখন তার দেশে এই জাতীয় ইস্যু উত্থাপিত হয় তখন তাদের কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে যখন অন্য কোনো দেশ আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয় সম্পর্কে আমাদের কাছে ইস্যু উত্থাপন করে, আমরা তাদের কথা শুনি এবং আমরা দেখি যে আমরা তাদের কাছ থেকে কী শিখতে পারি। আমরা মনে করি না এটি ভিয়েনা কনভেনশনের লঙ্ঘন।’
সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত ১৩ জন রাষ্ট্রদূতের যৌথ বিবৃতি দেওয়াকে 'অকূটনৈতিক আচরণ' উল্লেখ করে হতাশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সব পক্ষকে মৌলিক স্বাধীনতা ও আইনের শাসনকে সম্মান করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা আমাদের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছি। আমি আশা করি আমাদের আজকের আলোচনার পর তারা বুঝতে পারবে যে তাদের যৌথ বিবৃতি সময়ের আগেই পেশ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে তারা এ ধরনের অকূটনৈতিক আচরণ থেকে বিরত থাকবেন।’
তিনি বলেন, তারা কূটনীতিকদের গঠনমূলক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এবং তাদের ভিয়েনা কনভেনশনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে একজন প্রার্থী লাঞ্ছিত হওয়ার পর সম্প্রতি যৌথ বিবৃতি জারি করা ১৩টি বিদেশি মিশনের রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনারদের তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে হিরো আলম নামে পরিচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলমের ওপর হামলার পূর্ণ তদন্ত ও দোষীদের জবাবদিহিতার আহ্বান জানানো হয়।
যৌথ বিবৃতিতে বিদেশি মিশনগুলো বলেছে, ‘আমরা ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার নিন্দা জানাই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সহিংসতার কোনো স্থান নেই।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে 'বিশ্বাসযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক' নির্বাচনের কথা বলেছে জাতিসংঘ
বাংলাদেশে প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণ দল পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস