পিটিএ স্বাক্ষর করাকে যুগান্তকারী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এতে শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নকেই অগ্রাধিকার দেয়া হয়নি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককেও নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা পরস্পরের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
ড. মোমেন বলেন, দুই দেশের ভিন্ন ভিন্ন উপায় ও উপকরণ থাকতে পারে তবে একটি অভিন্ন লক্ষ্য হলো অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং সামাজিক উন্নয়ন।
বাংলাদেশ-ভুটান অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর এবং দুদেশের মধ্যে সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি থেকে বক্তব্য দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং এ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াললি যুক্ত হয়েছিলেন।
এছাড়া বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. লিয়নপো ডা. টান্ডি দর্জি, ভুটানের অর্থ বিষয়ক মন্ত্রী লোকনাথ শর্মা এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে যোগ দেন।
ড. মোমেন বলেন, তারা এ অনুষ্ঠানের জন্য জন্য ৬ ডিসেম্বর তারিখটি বেছে নেয়ার মধ্যে দিয়ে ইতিহাসকে পুনরুজ্জীবিত করেছেন। ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক এদিনে ভুটান প্রথম কোনো বিদেশি দেশ হিসাবে বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল।
মহান ও দূরদর্শী পূর্বপুরুষদের শ্রদ্ধা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গর্বের সাথে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অবদানের কথা স্মরণ করছি যিনি ভুটানের রাজা জিগমে সিঙ্গে ওয়াচুকের সাথে দুর্দান্ত সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। আজ, তাদের ঐতিহ্য, ভিশন এবং শিক্ষার কথা স্মরণ করিয়ে দিতে আমাদের এ বিনীত প্রচেষ্টা।
ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ডা. লোটে শেরিংয়ের নেতৃত্বে দুদেশের সহযোগিতা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা সকলের কাছে প্রশংসিত।
‘আমাদের ব্যক্তিগত যোগাযোগ এবং মনের মিলের সাথে সাথে আমাদের প্রাণবন্ত রাজনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে,’ বলেন তিনি।
কিছুদিন আগে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার কথা শুনে পর ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. শেরিং এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. টান্ডি দর্জি সহানুভুতি দেখানোয় তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ও ভুটান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিস্তৃত অনেক বেশি। আমরা উচ্চ পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক ও দৃঢ় বাণিজ্য সম্পর্ক ভাগ করে নেয়ার পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিপিং, আইসিটি এবং কৃষিক্ষেত্রসহ অনেক ক্ষেত্রে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এই অঞ্চলে আরও বেশি যোগাযোগ বাড়াতে আমরা আমাদের আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী।’
উভয় দেশের ব্যবসায়ি সম্প্রদায়কে পিটিএর সুবিধা কাজে লাগানোর আমন্ত্রণ জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই চুক্তি ফলে নৌপথের যোগাযোগ ব্যবহার করে ভুটান-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে আরও সমৃদ্ধ করতে সহায়তা করবে।’