বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সানফ্লাওয়ার, ক্যানোলা, সয়াবিন ও পাম অয়েলসহ সব ধরনের ভোজ্যতেলের ওপর আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত শুল্ক, কর ও ভ্যাট অব্যাহতি প্রদান করেছে সরকার।
এ বিষয়ে পৃথক ৩টি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
রমজান মাসে বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ স্বাভাবিক এবং দাম সাশ্রয়ী রাখতে এই শুল্ক ও ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছে এনবিআর।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সানফ্লাওয়ার, ক্যানোলা, সয়াবিন ও পাম অয়েল আমদানিতে বিদ্যমান সব আমদানি শুল্ক, রেগুলেটরি ডিউটি ও অগ্রিম আয়কর ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সম্পূর্ণ অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে সানফ্লাওয়ার, ক্যানোলা, সয়াবিন ও পাম অয়েল বিক্রয়ের ওপর স্থানীয় পর্যায়ে প্রদেয় মূল্য সংযোজন করও উল্লিখিত সময়কাল পর্যন্ত সম্পূর্ণ অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেল আমদানিতে ভ্যাট কমাল সরকার
তাছাড়া এসব পণ্যের আমদানি পর্যায়ে প্রদেয় মূসক ১৫ শতাংশ হতে হ্রাস করে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের ওপর আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ মূসক ব্যতীত অন্য কোন শুল্ক-করাদি অবশিষ্ট থাকবে না।
এর আগে গত ১৭ অক্টোবর ও ১৯ নভেম্বর জারিকৃত শুল্ক-করাদি অব্যাহতির প্রজ্ঞাপন দুটি সয়াবিন ও পাম অয়েলের ক্ষেত্রে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রযোজ্য ছিল।
ভোজ্যতেলের বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং ভোক্তাসাধারণের জন্য ভোজ্য তেলের মূল্য সহনীয় রাখার উদ্দেশ্যে সেগুলোর পাশাপাশি এবার অপরিশোধিত/পরিশোধিত সূর্যমুখী তেল ও ক্যানোলা তেলের আমদানির ওপরও বিদ্যমান শুল্ক-কর ও মূসক হ্রাস করা হলো।
আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন ও পাম অয়েলের সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বমুখী দর বিবেচনায় নিয়ে পবিত্র রমজান মাসে এই পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে নতুন প্রজ্ঞাপন তিনটির মেয়াদ আগামী ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ রাখা হয়েছে।
সূর্যমুখী ও ক্যানোলা তেলের কাস্টমস ডিউটি, রেগুলেটরি ডিউটি, আগাম কর ও অগ্রিম আয়কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করায় এবং মূল্য সংযোজন কর হ্রাস করার ফলে এ সকল তেলের আমদানি ব্যয় লিটার প্রতি ৪০-৫০ টাকা হ্রাস পাবে।
এই পদক্ষেপের ফলে দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং বাজারমূল্য সর্বসাধারণের জন্য সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব ব্যবসায়ীদের