তিনি বলেন, ‘ইউরোপের অনেক দেশেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। অনেক দেশ ইতোমধ্যে দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার লকডাউন ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশেও আগামী শীতের সময় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে।’
দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করার মতো সক্ষমতা স্বাস্থ্য খাতের হাতে রয়েছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘তবে মানুষ যদি সচেতন না হয়, স্বাস্থ্যবিধি না মানে তাহলে আগামীতে আবারও ভয়ের কারণ হতে পারে। কাজেই দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে হলে এ মুহূর্তে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই, বিশেষত সবার মুখে মাস্ক পরা এ সময়ে অত্যন্ত জরুরি।’
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিনের বিষয়ে সব দেশের সাথে আলোচনা হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় করণীয় সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে বুধবার আন্তমন্ত্রণালয় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সভায় বক্তারা করোনায় দেশের স্বাস্থ্য খাতের সক্ষমতার বিষয়ে প্রশংসা করেন এবং পূর্বের সক্ষমতা ধরে রেখে নতুনভাবে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন। শীতকালের সামাজিক অনুষ্ঠানগুলো যাতে দলবেঁধে হতে না পারে সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ও স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
অনলাইন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল, জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সভাপতি অধ্যাপক শহীদুল্লাহ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ আরও অনেকেই যুক্ত ছিলেন।