তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিনের বিষয়ে সব দেশের সাথে আলোচনা হচ্ছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ে ফান্ড আছে। সেই সাথে প্রয়োজনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করব।’
সচিবালয়ে এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে যারা অ্যাডভান্স লেভেলে আছেন শিগগিরই তাদের সাথে সমঝোতা স্মারক (এমইইউ) হবে।
মন্ত্রী জানান, সবাই একবারে ভ্যাকসিন পাবেন না। গ্রুপ করে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। কয়েক দিনের মধ্যেই ক্যাটাগরি ঠিক করা হবে। দেশে ভ্যাকসিন আসলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তা পাবেন ফ্রন্ট লাইনাররা। ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রটোকল মেনে যারা ফ্রন্ড লাইনার তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। চিকিৎসক, সেনাবাহিনী, বয়স্ক মানুষ, সাংবাদিক, স্কুল শিক্ষকরা অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকবেন।
তবে ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দেয়া হবে কি না তা নির্ধারণ করা হয়নি। আর জনগণকে সেবা দিতে, করোনায় ঠিক কত টাকা ব্যয় হয়েছে সেটা নির্ধারণ করা হচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার জন্য হাসপাতালগুলো প্রস্তুত আছে। প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, নার্সরা আছেন। পিপিই পর্যাপ্ত আছে। যতগুলো মন্ত্রণালয় আছে সবগুলোকে চিঠি দেয়া হয়েছে। মাস্ক পরা ও হাত ধোয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।’
ভ্যাকসিন এলেও তো সবাইকে রাতারাতি দেয়া যাবে না তাই নিয়ম মানতে হবে উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, ‘আর করোনা মোকাবিলায় নো মাস্ক নো সর্ভিস নীতি জোরদার করা হবে। জেলা কমিটি সভা করে সচেতনতা বাড়াবে।’
মন্ত্রী জানান, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া করোনা রোগী প্রতি সাড়ে ১৫ হাজার এবং আইসিইউ সেবা নেয়া রোগী প্রতি ৪৭ হাজার টাকা করে খরচ করেছে সরকার।