রাজধানীর মগবাজারের গত ২৭ জুনের ভয়াবহ বিস্ফোরণে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণে ঘটনায় বর্তামানে মোট মৃতের সংখ্যা ১২ হল।
নিহত সুভাষ চন্দ্র সাহা (৬২) কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মনমোহন সাহার ছেলে। তিনি রাজধানীর ইসলামপুরে বসবাস করতেন।
কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) এত পুলিশ পরিদর্শক মো. মোদাচ্ছের কায়সার ইউএনবিকে বলেন, ‘সোমবার রাতে তার অবস্থার অবনতি হলে, তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।’
আরও পড়ুন: মগবাজার বিস্ফোরণ তদন্তে দ্রুত ইতি টানতে নারাজ আইজিপি
এর আগে গত বৃহস্পতিবার মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় মোহাম্মদ নুর নবী (৩০) ও মো. রাসেল (২১) নামে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তারা।
এর আগে গত ২৭ জুন (রবিবার) মগবাজার ওয়্যারলেস গেটের কাছে এক বিস্ফোরণের ঘটনায় ৯ জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়। আহতদের মধ্যে মোহাম্মদ নুর নবীর শরীরের ৯০ শতাংশ আগুনে পুড়ে যায়। তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বৃহস্পতিবার আনুমানিক ভোর ৪ টা ৩০ মিনিটের দিকে মোহাম্মদ নুর নবী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে নিশ্চিত করেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পার্থ শঙ্কর পাল।
আরও পড়ুন: মগবাজারে বিস্ফোরণ: অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে পুলিশের মামলা
এছাড়া বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া দুইটায় আইসিইউতে মো. রাসেল (২১) মারা যায় বলে নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া।
এদিকে মঙ্গলবার বিস্ফোরণের দুই দিন পর ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে ভবনটির নিরাপত্তারক্ষীর লাশ পাওয়া যায়। এদিন বেলা সাড়ে ৩টার দিকে হারুন-উর-রশিদ (৬৫) এর লাশ উদ্ধার করা হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক (অপারেশন) দেবাশীষ বর্ধন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: মগবাজারে বিস্ফোরণ: দুই দিন পর নিরাপত্তারক্ষীর লাশ উদ্ধার
এর আগের দিন মগবাজারে অবহেলার কারণে বিস্ফোরণের অভিযোগ এনে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করেছে।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ইউএনবিকে জানান, উপপরিদর্শক রেজাউল করিম রমনা থানায় এই মামলা করেন।
আরও পড়ুন: মগবাজারে বিস্ফোরণ: পুলিশের তদন্ত কমিটি
রবিবার সন্ধ্যায় মগবাজার ওয়্যারলেস গেটের কাছে আড়ংয়ের পাশে একটি ভবনেশক্তিশালী বিস্ফোরণে কমপক্ষে সাতজন নিহতে এবং ৬৬ জনেরও বেশি আহত হয়।
পরের দিন সোমবার পুলিশ প্রধানের নির্দেশে বিস্ফোরণ তদন্তের জন্য একটি সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে পুলিশ। এই কমিটির নেতৃত্ব দেবেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)-এর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার।
এছাড়া বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তের জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।