অভিযান চলাকালে সর্বত্র মশার কীটনাশক প্রয়োগ করা হবে। এছাড়া মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। বিভিন্ন ড্রেন ও জলাশয় চতুর্থ প্রজন্মের লার্ভিসাইড নোভালিউরন প্রয়োগ করা হবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সেলিম রেজা বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির মেয়র-কাউন্সিলর এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নগরবাসীর কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নগরজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার জন্য ডিএনসিসি মেয়র ওয়াদাবদ্ধ। আজ থেকে ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে একযোগে এই অভিযান পরিচালিত হবে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলররা এই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসিতে মশা নিয়ন্ত্রণে চতুর্থ প্রজন্মের লার্ভিসাইড
বর্ষায় মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে ঘরোয়া উপায়
এডিশ মশা রোধে জলশয় ও নর্দমায় তেলাপিয়া চাষ: তাপস
তিনি আরও বলেন, যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কার্যকারিতা নিশ্চিত হয়েই মশার কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। খালগুলো মশার প্রজননস্থল। ডিএনসিসির উদ্যোগে খালগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে। ডিএনসিসি মেয়রের একটিই নির্দেশনা, যে কোনো মূল্যে মশা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
আজ মোট ৬ হাজার ৬৯৫টি নালা-নর্দমা জলাশয়, নির্মাণাধীন ভবন ও অন্যান্য স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩০টিতে লার্ভা পাওয়া যায়। মোট ৪ হাজার ৫৩৯টিতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়ে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। এছাড়া লার্ভা পাওয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১৯টি মামলায় ২ লক্ষ ৩৫ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়েদুর রহমান, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমান, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর আমেনা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।