প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে জানানো হয়, শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে সর্বদা খোঁজ-খবর রাখছেন এবং সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা শনিবার সকালে ১১ জনে পৌঁছেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মসজিদে সাতটি এয়ার কন্ডিশনার বিস্ফোরণের পরে আহত ৩৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
ডা. সামন্ত আরও বলেন, ‘আহতদের মধ্যে সকাল ৯টা পর্যন্ত ১১ জন মারা গেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আহতদের সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।’
শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এশার নামাজের সময় মসজিদের সবগুলো এসি বিস্ফোরিত হয়ে প্রায় ৪০ জন মুসল্লি আহত হন।
স্থানীয়রা জানান, রাত ৮ টা ৪৫ মিনিটের দিকে বায়তুস সালাম মসজিদে মসল্লিরা নামাজ শেষ করার পরপরই এ ঘটনা ঘটে। একটি এসি বিস্ফোরিত হয়ে মসজিদের ভেতরে আগুন লেগে যায়। পরে, বাকি আরও ছয় এসির বিস্ফোরণ ঘটে যাতে অন্তত ৪০ জন মুসল্লি আহত হন।