হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ও সরকারের করা আবেদন নিষ্পত্তি করে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন তৈমুর আলম খন্দকার।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বিভাগ মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ও নিহতদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে দেয়ার আদেশ দিয়ে রুল জারি করে।
আদেশে বলা হয়, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এ টাকা দেয়ার পর নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ৩৭টি পরিবারের কাছে তা বিতরণ করবেন।
রুলে দগ্ধ ও নিহতদের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। চার সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, নারায়ণগঞ্জের মেয়র, তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, রাজউক, ডিপিডিসি, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও এসপি, মসজিদ কমিটিসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
ক্ষতিপূরণের আদেশ স্থগিত চেয়ে সরকার পক্ষ ও তিতাস গ্যাস আপিল বিভাগে আবেদন করে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান হাইকোর্টের আদেশে স্থগিতাদেশ দিয়ে আবেদন আগামী ১ ডিসেম্বর শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান। সে অনুসারে আবেদন মঙ্গলবারের কার্য তালিকায় উঠে।
গত ৭ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় বাসিন্দা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম খন্দকার রিট আবেদনটি দায়ের করেছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে ৩৭ জন মুসল্লি অগ্নিদগ্ধ হন। দগ্ধদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হলে অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়। গত ৮ সেপ্টেম্বর ১২ শতাংশ দগ্ধ মামুন নামে এক রোগীকে ছাড়পত্র দেয়া হয়।