করোনাভাইরাসের প্রকোপরোধে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শিশু-কিশোর সমাবেশ, জেলা উপজেলায় কুচকাওয়াজ ও সকল ধরনের জনসমাবেশ স্থগিত করা হয়।
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাষ্টপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
এদিন প্রথম প্রহরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। সকালে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ন্যূনতম সংখ্যক উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
২৬ মার্চ উপলক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হয়।
দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। এ উপলক্ষে ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে ন্যূনতম উপস্থিতিতে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হয় । এছাড়া দেশের সকল হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবার, বৃদ্ধাশ্রমে উন্নতমানের খাবার ও মিষ্টি পরিবেশন করা হয়।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে নিরস্ত্র বাঙালির বিরুদ্ধে পাকিস্তান দখলদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের পর ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
৩০ লাখ মানুষের প্রাণ এবং ২ লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর অবশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলাদেশ।
এ দিবস উপলক্ষে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতীয় দৈনিকগুলো। এছাড়া বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেসরকারি রেডিও স্টেশন এবং টেলিভিশন চ্যানেলগুলো স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করে।