জাতীয় দিবস
ঢাকায় রোমানিয়ান জাতীয় দিবস উদযাপিত
রোমানিয়ার ১০৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বারিধারায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশে নিযুক্ত রোমানিয়ার অনারারি কনসাল এবং ইউএনবি ও ঢাকা কুরিয়ারের প্রধান সম্পাদক এনায়েতউল্লাহ খান বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) তার বাসভবনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
শুরুতে বাংলাদেশ ও রোমানিয়ার মধ্যকার ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক এবং আসন্ন ডিসেম্বর মাসের গুরুত্ব তুলে ধরে এনায়েতউল্লাহ খান বলেন, বাংলাদেশ ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করেছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কূটনীতিক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।
ড. ইফতেখার উল্লেখ করেন, এনায়েতউল্লাহ খান সম্প্রতি নাইট পদমর্যাদায় রোমানিয়ান ন্যাশনাল অর্ডার ফর মেরিটে ভূষিত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আপনি সত্যিই এর যোগ্য।’
আরও পড়ুন: রোমানিয়ার জাতীয় দিবস উদযাপিত
রোমানিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ ও রোমানিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং উচ্চ পর্যায়ের সংলাপে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য উচ্চ প্রশংসার নিদর্শন স্বরূপ খানকে এই সম্মানজনক পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
এই পুরস্কার প্রদান করেন রোমানিয়ার প্রেসিডেন্ট। ন্যাশনাল অর্ডার ফর মেরিট রোমানিয়ায় প্রদত্ত গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক বা সামরিক পরিষেবাগুলিকে স্বীকৃতি দেয়।
ড. ইফতেখার বলেন, বাংলাদেশ ও রোমানিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক এখন অনেক শক্তিশালী হয়েছে। সাংস্কৃতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক এবং শ্রম খাতে সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে কাজ হচ্ছে।
‘রোমানিয়া একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, খান বাংলাদেশে রোমানিয়ার প্রতিনিধিত্ব করে অসাধারণ কাজ করছেন।
তিনি ২০২১ সালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সফর এবং এই সফরের ফলাফলের কথাও স্মরণ করেন, যা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও জোরদার করেছে।
শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, ব্যবসায়ী নেতা, শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সাবেক বেসামরিক ও প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
গ্রেট ইউনিয়ন দিবসকেই রোমানিয়ার জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। ১৯১৮ সালের এই দিনে ট্রান্সিলভানিয়ার পাশাপাশি রোমানিয়ান রাজ্যের সঙ্গে বেসারাবিয়া ও বুকোভিনা প্রদেশের একত্রীকরণ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ২ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উপহার দিবে রোমানিয়া
মোটরসাইকেলে ২৯ দেশ পেরিয়ে রোমানিয়ার তরুণী এখন সাতক্ষীরায়
১১ মাস আগে
বাংলাদেশের ৫৩তম স্বাধীনতা দিবস রবিবার
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়ার শপথ নিয়ে আগামীকাল ৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করতে যাচ্ছে জাতি।
১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর দমন-পীড়নের পর বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
ত্রিশ লাখ শহীদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ ও দুই লাখ নারীর সম্মানে নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ অর্জিত হয় তার লালিত স্বাধীনতা।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের নাগরিকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু সব সময় রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। বর্তমান সরকার তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস, দারিদ্র্য বিমোচন, গড় আয়ু বৃদ্ধি এবং সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। দারিদ্র্য হ্রাসের পাশাপাশি মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। কর্ণফুলী টানেল, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজও সুষ্ঠুভাবে চলছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। টেকসই উন্নয়নের এই অগ্রগতি অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ অর্জিত হবে। বাংলাদেশ একটি উন্নত-ধনী-স্মার্ট দেশে পরিণত হবে, এটাই আমার প্রত্যাশা।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, “আমাদের ‘রূপকল্প-২০২১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছি। আমরা একটি ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরি করেছি। শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনা হয়েছে। আমরা পদ্মা নির্মাণ করেছি। নিজস্ব অর্থায়নে সেতু ও মেট্রোরেল উদ্বোধন করেছি।এছাড়া জাতির পিতার খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছি। আসুন বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত করে গড়ে তুলি। জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, এটাই হোক স্বাধীনতা দিবসে আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার।”
মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বন্দুকের স্যালুট ও পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে সরকারি ছুটি শুরু হবে।
সূর্যোদয়ের সময় সকল সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ সব ভবন ও স্থাপনা আলোকিত করা হবে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস: মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
জাতীয় দৈনিকগুলো, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেসরকারি রেডিও স্টেশন ও টেলিভিশন চ্যানেলগুলো দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।
বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি শিশু একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এবং অন্যান্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শিশুদের জন্য সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চিত্রাঙ্কন ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে।
মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে সম্মাননা দেয়া হবে। বাংলাদেশ ডাকঘর বিভাগ দিবসটি উপলক্ষে একটি বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করবে।
এদিকে দেশের শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া মাহফিল করবে।
হাসপাতাল, জেল, শিশু নিবাস, বৃদ্ধাশ্রম, ডে কেয়ার সেন্টারের মতো প্রতিষ্ঠানে বিশেষ মানের খাবার বিতরণ করা হবে।
শিশু উদ্যান ও জাদুঘরগুলো সারাদিন সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে অনুরূপ কর্মসূচির আয়োজন করা হবে।
১ বছর আগে
১৮ অক্টোবর পালিত হবে ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২২’
আগামী ১৮ অক্টোবর দ্বিতীয় বারের মত 'ক' শ্রেণির জাতীয় দিবস হিসেবে জাতীয়ভাবে সারাদেশে একযোগে এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহে পালিত হবে শেখ রাসেল দিবস ২০২২।
বুধবার আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে বিসিসি অডিটরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ তথ্য জানান।
দিবসটি উপলক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে ১৮ অক্টোবর সকাল ৬টায় বনানী কবরস্থানে শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: লিসবনে শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত
সকাল সাড়ে ৬টায় স্ব স্ব মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থা/প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গনে শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবে।
আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে সকাল সাড়ে ৭টায় পরিকল্পনা কমিশনের সামনে থেকে বিআইসিসি প্রাঙ্গণ পর্যন্ত সকলের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র্যা লী অনুষ্ঠিত হবে।
সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) হল অব ফেমে শেখ রাসেল দিবস-এর উদ্বোধন ও শেখ রাসেল পদক প্রদান করবেন।
দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, হল অব ফেমে দুপুর আড়াইটায় ‘শেখ রাসেলের নির্মম হত্যাকাণ্ড ন্যায় বিচার, শান্তি ও প্রগতির পথে কালো অধ্যায়’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনার, একই স্থানে সন্ধ্যা ৬টায় ‘কনসার্ট ফর পিস এন্ড জাস্টিস’ অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও ১৬ অক্টোবর রাত ৯টায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে ‘ট্রাজিক এন্ড অব শেখ রাসেল: এ শেম ইন হিউমেন হিস্টোরি’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
দিবসটি উপলক্ষে দেশের সকল বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের উদ্যোগে চিত্রাংকন, দাবা, জাতীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ রাসেল ছিলেন অতিথি পরায়ণ, বন্ধুবৎসল ও প্রাণচাঞ্চল্য ভরপুর একজন শিশু। শেখ রাসেলের এই অকাল প্রয়াণে সুখ-দুঃখ হয়তো কোনদিন আমাদের শেষ হবে না। শেখ রাসেল দিবসে সারা বাংলাদেশের সাড়ে তিন কোটি শিশু-কিশোর-কিশোরীদের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, শেখ রাসেলের নির্মলতা, তার দুরন্ত এবং নির্ভীক শৈশবের গল্প সেটি আমরা পৌঁছে দিতে চাই।
তিনি বলেন, আমাদের এই শিশু-কিশোরদেরকে সেই বিজয়ের গৌরবগাঁথা ইতিহাস থেকে বারবার বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা শেখ রাসেল জাতীয় দিবস ২০২২ এর মূল প্রতিপাদ্য নির্বাচন করেছি ‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক।’ এই শব্দগুলোর মধ্য দিয়ে শেখ রাসেলকে আমরা স্মরণ করতে চাই। বাংলাদেশের প্রতিটি শিশু-কিশোর-কিশোরীদেরকে একটি নির্মল শৈশব-কৈশোর এবং একটি নির্ভীক প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
আরও পড়ুন: নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসছে বিনা উদ্ভাবিত ‘শেখ রাসেল’ ধান
গুলিস্তানে শেখ রাসেল কমপ্লেক্সে আগুন
২ বছর আগে
মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেয়ায় সীমিত পরিসরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।
৪ বছর আগে