আদালত বলেছে, নির্যাতনের বিষয়ে তদন্তে গাফিলতি হলে হস্তক্ষেপ করা হবে।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নেয়া হলে সোমবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।
বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জেসমিন সুলতানা। পরে এই আইনজীবী আদালতের মন্তব্যের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত ২১ আগস্ট চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের একটি গ্রামে গরু চুরির অভিযোগে মা-মেয়েকে রশিতে বেঁধে নির্যাতন করেন স্থানীয় লোকজন। ওই দুই নারীর সঙ্গে ছিলেন আরও তিনজন। পরে তাদের কয়েকটি গ্রাম ঘুরিয়ে হারবাং ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম দ্বিতীয় দফায় তাদের মারধর করেন। তাদের শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে গেলে চেয়ারম্যান তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। পুলিশ তাদের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করান।
ওই রাতেই গরু চুরির অভিযোগ এনে তিন নারীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় মামলা করেন মাহবুবুল হক নামের এক ব্যক্তি। পরের দিন শনিবার আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এদিকে, কক্সবাজারের চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রাজিব কুমার দেব মা-মেয়েসহ তিন নারীকে জামিন দেন। বাকি দুজনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়।
এছাড়া এদিন রশিতে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় ছবি ও ভিডিও দেখে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
চকরিয়া থানার পুলিশ রবিবার রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। আজ বিকালে ৫৪ ধারায় তাদের আদালতে তোলা হয়। আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
এই তিনজন হলেন- নজরুল ইসলাম (২৭), জসিম উদ্দিন (৩২) ও মো. নাছির (২৮)। নজরুল গরু চুরি সংক্রান্ত মামলার বাদী মাহবুবুল হকের ছেলে আর জসিম ও নাছির ওই মামলায় সাক্ষী ছিলেন।