খসড়া আইন অনুসারে, এ আইনের ব্যত্যয় হলে কমপক্ষে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিতের বিধান রয়েছে।
বিদ্যমান মৎস ও মৎসপণ্য (পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৮৮ অনুসারে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান ছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সোমবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
পরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করার সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, রপ্তানি বাজার ধরে রাখা ও নতুন বাজারে অনুপ্রবেশের সুযোগ বৃদ্ধি এবং একইসঙ্গে মানসম্পন্ন মৎস ও মৎসপণ্য আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাজারে বাজারজাতকরণ নিশ্চিত করতে ‘মৎস ও মৎসপণ্য (পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ)’ আইনটি তৈরি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী লাইসেন্স না নিয়ে কেউ মৎস ও মৎসপণ্য রপ্তানি, কারখানা বা স্থাপনা প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করতে পারবে না।
এ আইন অনুসারে, ভুয়া তথ্য সরবরাহ বা তথ্য গোপন করা, পর পর তিন বছর লাইসেন্স নবায়ন করতে ব্যর্থ হওয়া এবং লাইসেন্স হস্তান্তর ও বিক্রয়সহ বিভিন্ন কারণে লাইসেন্স বাতিল করার সুযোগ রয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তদন্তের সময় প্রতিষ্ঠানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বা নিম্নমানের প্রক্রিয়াজাতকরণের কোনো আলামত পেলে পরিদর্শন কর্মকর্তা সর্বাধিক পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করতে পারবেন।
সেইসাথে, মন্ত্রিসভায় বাংলাদেশে রাসায়নিক পরিমাপ বিজ্ঞানের অবকাঠামো সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের পরীক্ষাগারসমূহের রাসায়নিক পরীক্ষণ সেবার আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের জন্য ‘বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস আইন, ২০২০’ এর খসড়ারও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।