দুই প্রতিবেশী দেশের বাংলাভাষী জনগণ শূন্য রেখায় অস্থায়ীভাবে তৈরি শহীদ মিনারে ভাষা শহীদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলন জাতির ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা, যার লক্ষ্য ছিল মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি আত্ম-সত্ত্বা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষা করা।
এর আগে, দুই দেশের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণের পর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মধ্যে দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী (এলজিআরডি) স্বপন ভট্টাচার্য, পশ্চিমবঙ্গের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক প্রমুখ এতে অংশ ।
এছাড়াও বাংলাদেশ থেকে অংশ নেন সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী, যশোর জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ, জেলা পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৪৯ কমান্ডার লে. কর্নেল সেলিম রেজা প্রমুখ।
অপরদিকে, ভারতের পক্ষ থেকে অংশ নেন এমএলএ বিশ্বজিৎ দাস, উত্তর-২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাপতি রহিমা মন্ডল, বনগাঁ পৌরসভার মেয়র শঙ্কর অধ্যায়সহ আরও অনেকে।
সেই সাথে মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসার এ আয়োজনে উভয় দেশের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোও বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, ভাষা আন্দোলন ১৯৪৮ সালে শুরু হয়েছিল এবং ১৯৫২ সালের এ আন্দোলন বাংলাদেশের স্বাধীনতার দিকে পরিচালিত করে।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছিলেন, ‘আপনারা ভাষা ও স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছেন। পৃথিবীতে আপনাদের মতো ত্যাগের আর কোনো উদাহরণ নেই। ভাষার প্রতি আমাদের ভালবাসার জন্য আমরা অমর একুশে পালন করতে এখানে এসেছি।’