তিনি বলেছেন, ‘এবার মাধ্যমিকে বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। প্রতি সপ্তাহে শিক্ষার্থীদের একটি অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হবে। এ জন্য একটা অ্যাসাইনমেন্ট ডিজাইন করা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে সেটি সম্পন্ন করে শিক্ষার্থীরা জমা দেবে। খুব দ্রুত এ সিলেবাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠানো হবে।’
মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষার বিষয়ে বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন: এ বছর জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষাও হচ্ছে না: মন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘চলামান করোনা পরিস্থিতির জন্যই চলতি বছর কোনো পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই মূল্যায়নে যাতে শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো চাপ সৃষ্টি না হয় সেটিও বিবেচনা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের কোথায় কোথায় দুর্বলতা আছে, পরবর্তীতে তাদের কিভাবে অতিরিক্ত ক্লাস করানো হবে বা কিভাবে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করা যায় সে বিষয়েও ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এবার কোনো বার্ষিক পরীক্ষা হচ্ছে না।’
‘আমরা মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের একটি মূল্যায়নের পরিকল্পনা করেছি। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে মূল্যায়ন করা হবে। এজন্য ৩০ কর্মদিবসে সম্পন্ন করা যায় এমন সিলেবাস প্রণয়ণ করেছে এনসিটিবি। আমরা লক্ষ্য রাখছি যাতে শিক্ষার্থীদের শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি না হয়। শিক্ষার্থীদের পরের ক্লাসে যাওয়ার জন্য যতটুকু জানা প্রয়োজন সেটি বিবেচনায় করেই এ সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে,’ বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
পরবর্তী ক্লাসে উঠতে এ মূল্যায়ন পদ্ধাতি কোনো প্রভাব ফেলবে না বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা, নম্বর কমছে অর্ধেক
এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।