সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু।
আরও পড়ুন: মামলা থেকে অব্যাহতি চান বরখাস্তকৃত ডিআইজি প্রিজনস পার্থ গোপাল
এর আগে, গত ৪ নভেম্বর দুদকের মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে ঢাকার বিশেষ জজ আালত-১০ এ আবেদন জানিয়েছিলেন পার্থ বণিক। আদালত তার আবেদন খারিজ করেন। পরে বিচারিক আদালতের আদেশ রিভিশন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৮ জুলাই সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দুদকের সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে পার্থ গোপাল বণিককে দুদক পরিচালক মুহাম্মদ ইউছুফের নেতৃত্বে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে একইদিন বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডির ভুতের গলিতে পার্থ গোপাল বণিকের বাসায় অভিযান চালিয়ে নগদ ৮০ লাখ টাকা জব্দ করে দুদক। পরে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের নেতা মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: বরখাস্তকৃত ডিআইজি প্রিজনস পার্থ গোপালের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ
ঘুষ গ্রহণের মামলায় ডিআইজি প্রিজন পার্থ গোপাল কারাগারে
কারা উপমহাপরিদর্শক পার্থর ৮০ লাখ টাকার বৈধ উৎস পায়নি দুদক
সিলেটে দায়িত্ব পালনের আগে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে দায়িত্ব পালন করেন পার্থ গোপাল বণিক। চট্টগ্রাম কারাগারের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তাকে এবং চট্টগ্রামের সাবেক সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। তারপরই অভিযানে যায় কমিশন।
পরে ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পার্থ গোপাল বণিককে গ্রেপ্তারের দিন থেকে চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: বাসা থেকে টাকা উদ্ধার: ডিআইজি প্রিজন পার্থর বিরুদ্ধে মামলা