মাস্ক না পরার কারণে শাস্তির ব্যবস্থা করেও প্রত্যাশিত ফল না আসায় নিয়মটি মেনে চলতে মানুষকে বাধ্য করার জন্য সরকার হন্যে হয়ে কার্যকর উপায় খুঁজে বেড়াচ্ছে।
সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মাস্ক ছাড়া যারা ঘুরাফেরা করছেন তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত শাস্তি দিলেও মানুষজন এখনও এ বিষয়ে অনাগ্রহী হওয়ায় মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন এ পরামর্শ দিয়েছে।
সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মাস্ক ব্যবহার করুন: টিকা এখনই করোনা সমস্যার সমাধান দেবে না
প্রচারণায় বাণিজ্যিক ও ব্যবসায়িক সংগঠনগুলোকে যুক্ত করা নিয়ে তিনি বলেন, মানুষজন যাতে ঘরের বাইরে থাকার সময় মাস্ক পরে নিজেদের প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে রক্ষা করে সে জন্য ইতোমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও এফবিসিসিআইকে প্রচারণা চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে অনলাইনে বৈঠকে যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন।
মন্ত্রিসভার এ সাপ্তাহিক বৈঠকে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি এবং সংক্রমণের নতুন ঢেউ ঠেকানোর উপায় নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
আরও পড়ুন: মাস্ক পরতে বাধ্য করতে কঠোর হবে সরকার: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জানান যে তিনি ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন যাতে নেতা-কর্মীরা কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সময় মাস্ক পরেন এবং এ বিষয়ে গণসচেতনতামূলক প্রচারণা চালান।
মানুষজন যাতে একাধিকবার ব্যবহার করতে পারে সে জন্য তাদের মাঝে তিন স্তরের কাপড়ের মাস্ক বিতরণ করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেন তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে শীত বাড়ার সাথে সাথে কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার হয়ত বৃদ্ধি পাবে।