বিদেশে অবৈধভাবে অর্থ পাচার ও কর ফাঁকি দেয়ার উদ্দেশ্যে মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানি করায় ২০১৮ সালে বাংলাদেশসহ ১৩৪টি উন্নয়নশীল দেশে সম্ভাব্য প্রায় এক দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন বা এক লাখ ৬০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়েছে।
এ সময়ে উন্নয়নশীল দেশ ও ৩৬টি উন্নত অর্থনীতির মধ্যে অবৈধ আর্থিক প্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৮৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি (জিএফআই) ‘২০০৯-২০১৮ সাল পর্যন্ত ১৩৪টি উন্নয়নশীল দেশের বাণিজ্য সম্পর্কিত অবৈধ আর্থিক প্রবাহ’ নামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে দেখানো হয়, মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানি উন্নয়নশীল দেশে একটি স্থায়ী সমস্যা। যার ফলে দেশ হারায় বিশাল অঙ্কের রাজস্ব এবং দেশ থেকে অবৈধ ভাবে অর্থ বিদেশে পাচার হয়।
২০১৮ সালে, ৩৬টি উন্নত দেশের সঙ্গে চীন, পোল্যান্ড, ভারত, রাশিয়া ও মালয়েশিয়া এই পাঁচটি উন্নয়নশীল দেশের সবচেয়ে মূল্য ঘাটতি চিহ্নিত করা হয়েছে।
আর ২০১৮ সালে, ৩৬টি উন্নত দেশের সঙ্গে মোট বাণিজ্যের শতাংশ হিসেবে সবচেয়ে মূল্য ঘাটতি হয়েছে গাম্বিয়া (৪৫.০ শতাংশ), মালাউই (৩৬.৬ শতাংশ), সুরিনাম (৩১.৯ শতাংশ), কিরগিজস্তান (৩০.৬ শতাংশ) ও বেলিজ (২৯.২ শতাংশ)।
জিএফআইয়ের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী টম কার্ডামোন বলেন, ‘করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য টিকা ও ওষুধ কেনার জন্য যখন উন্নয়নশীল দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে তখন সেখানে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার শুল্ক ও কর ফাঁকি দেয়া হচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক যে খুব কম সংখ্যক সরকারই এত বিশাল ক্ষতির প্রতি মনোযোগ দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বিশ্ব বাজারে আমদানি পণ্যের দাম বেড়েছে: বাণিজ্য সচিব