কর ফাঁকি
ফিলিপাইনের নোবেল বিজয়ী মারিয়া রেসা কর ফাঁকির মামলায় খালাস
নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মারিয়া রেসা মঙ্গলবার চূড়ান্ত কর ফাঁকির মামলায় খালাস পেয়েছেন, যদিও তিনি এখনও দু’টি অবশিষ্ট আইনি মামলার মুখোমুখি রয়েছেন।
রেসা ও তার অনলাইন সংবাদ সংস্থা র্যাপলারের বিরুদ্ধে ৫টি কর ফাঁকির অভিযোগ আনা হলেও গত জানুয়ারিতে একটি আদালত এর মধ্য থেকে ৪টি অভিযোগ থেকে খালাস দেন। অন্য একটি আদালত পঞ্চম অভিযোগের শুনানি করে মঙ্গলবার তাকে খালাস দেন।
আদালত প্রাঙ্গনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সত্যের জয়, ন্যায়বিচারের জয়।’
রেসা ও রুশ সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতোভ তাদের সংবাদ সংস্থাগুলোর অস্তিত্বের জন্য লড়াই করে এবং তাদের বন্ধ করার সরকারি প্রচেষ্টাকে উপেক্ষা করে মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার প্রচেষ্টার জন্য ২০২১ সালের নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন।
তিনি বলেছিলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল কারণ র্যাপলার অবৈধ মাদকের বিরুদ্ধে দুতার্তে'র নৃশংস অভিযানের সমালোচনা করেছিলেন, যার ফলে হাজার হাজার ক্ষুদ্র মাদক সন্দেহভাজন নিহত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মানুষের উন্নত ভবিষ্যৎ-শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ার পথ হলো শিক্ষা: জাতিসংঘ মহাসচিব
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এই অভিযানকে মানবতার বিরুদ্ধে সম্ভাব্য অপরাধ হিসেবে তদন্ত করছেন।
র্যাপলার করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় দুতার্তে'র সমালোচনা করেন, যার মধ্যে রয়েছে দীর্ঘায়িত লকডাউন, যা দারিদ্র্যকে আরও গভীর করে তোলে, দেশের অন্যতম খারাপ মন্দা সৃষ্টি করে এবং সরকারি চিকিৎসা কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করে।
তিনি আরও বলেন, ফিলিপাইনের নতুন নেতা ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের অধীনে ‘ভয় দূর করা’ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে, যিনি ১৯৮৬ সালে সেনা-সমর্থিত ‘জনশক্তি’ অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসকের নামপুত্র।
রেসা এখনও অনলাইন মানহানির দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করছেন, যখন র্যাপলার সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের জারি করা একটি বন্ধের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করছেন।
তিনি বলেন, ‘আপনার বিশ্বাস থাকতে হবে। এই খালাস এখন বিচার ব্যবস্থা চালিয়ে যাওয়ার, রাজনৈতিক হয়রানি সত্ত্বেও, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ সত্ত্বেও আদালতে আত্মসমর্পণ করার আমাদের সংকল্পকে শক্তিশালী করেছে। এটি দেখায় যে আদালত ব্যবস্থা কাজ করে এবং আমরা আশা করি বাকি অভিযোগগুলো খারিজ হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: ইমরান খানের দুর্নীতির মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ড স্থগিত
গোপনে আদানি গ্রুপের বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনেছেন প্রতিষ্ঠানের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা
১ বছর আগে
ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের কর ফাঁকির বিষয়ে ৩ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ
ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের কর ফাঁকির বিষয়ে কর আপিল ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট নিষ্পত্তি করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এদিকে আদালত কামাল হোসেন এন্ড অ্যাসোসিয়েটসের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করতে এবং আপিলটি তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ দিয়েছেন।
এছাড়া এ বিষয়ে করা রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের বেঞ্চ এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: সরকার যেনতেন নির্বাচনের ‘পাঁয়তারা’ করছে: ড. কামাল হোসেন
রায়ের ব্যাপারে কামাল হোসেন এন্ড অ্যাসোসিয়েটসের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন বলেছেন, কর ফাঁকির অভিযোগের বিষয়ে আমরা ট্যাক্সেস আপিলেট ট্রাইব্যুনালে আপিল করেছিলাম।
তিনি বলেন, ডিপোজিট জমা দেওয়া হয়নি উল্লেখ করে আমাদের আপিল গ্রহণ করেনি আপিল ট্রাইব্যুনাল। পরে আমরা সেটি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করি। অ্যাডভান্স ইনকাম ট্যাক্স দেওয়া হয়েছিল, আমরা সেটাকে ডিপোজিট হিসেবে গ্রহণ করতে বলি।
তিনি আরও বলেন, হাইকোর্ট সোমবার রিট আবেদনটি নিষ্পত্তি করে আদেশ দিয়েছেন। আমরা যেটা চেয়েছিলাম, সেটাই আদেশ দিয়েছেন। আমাদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করতে কর আপিল ট্রাইব্যুনালকে নির্দেশ দিয়েছেন।
একই সঙ্গে আপিলটি তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলেছেন।
জানা যায়, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ড. কামাল হোসেন ১ কোটি ৪ লাখ ৩ হাজার ৪৯৫ টাকা আয় দেখিয়ে রিটার্ন দাখিল করেন। কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০ কোটি ১১ লাখ ৪ হাজার ২১৯ টাকার সম্পদ দেখিয়ে ৬ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজা ৩১৫ টাকা ট্যাক্স এবং সুদ ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬৩৪ টাকা দাবি করে।
২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাজস্ব বোর্ডের এক ডেপুটি কমিশনারের ওই আদেশের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট যুগ্ম কমিশনারের কাছে আপিল করেন কামাল হোসেন এন্ড অ্যাসোসিয়েটস।
ওই আপিল শুনানি শেষে ২০২০ সালের ২৫ জুন খারিজ করে দেওয়া হয়। এরপর যুগ্ম কমিশনারের ওই আদেশের বিরুদ্ধে ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস কর আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন।
কিন্তু আইনে নির্ধারিত নির্দিষ্ট পরিমাণ ডিপোজিট জমা না করার কারণ দেখিয়ে আপিল ট্রাইব্যুনাল সেই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ না করেই খারিজ করে দেয়।
পরে গত বছরের জুনে কর আপিল ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে কামাল হোসেন এন্ড অ্যাসোসিয়েটস।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চান ড. কামাল হোসেন
রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাৎ করতে চান ড. কামাল হোসেন
১ বছর আগে
মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি-রপ্তানি করায় ১৩৪ উন্নয়শীল দেশে ক্ষতি প্রায় ১.৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার: জিএফআই
বিদেশে অবৈধভাবে অর্থ পাচার ও কর ফাঁকি দেয়ার উদ্দেশ্যে মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানি করায় ২০১৮ সালে বাংলাদেশসহ ১৩৪টি উন্নয়নশীল দেশে সম্ভাব্য প্রায় এক দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন বা এক লাখ ৬০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়েছে।
এ সময়ে উন্নয়নশীল দেশ ও ৩৬টি উন্নত অর্থনীতির মধ্যে অবৈধ আর্থিক প্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৮৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি (জিএফআই) ‘২০০৯-২০১৮ সাল পর্যন্ত ১৩৪টি উন্নয়নশীল দেশের বাণিজ্য সম্পর্কিত অবৈধ আর্থিক প্রবাহ’ নামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে দেখানো হয়, মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানি উন্নয়নশীল দেশে একটি স্থায়ী সমস্যা। যার ফলে দেশ হারায় বিশাল অঙ্কের রাজস্ব এবং দেশ থেকে অবৈধ ভাবে অর্থ বিদেশে পাচার হয়।
২০১৮ সালে, ৩৬টি উন্নত দেশের সঙ্গে চীন, পোল্যান্ড, ভারত, রাশিয়া ও মালয়েশিয়া এই পাঁচটি উন্নয়নশীল দেশের সবচেয়ে মূল্য ঘাটতি চিহ্নিত করা হয়েছে।
আর ২০১৮ সালে, ৩৬টি উন্নত দেশের সঙ্গে মোট বাণিজ্যের শতাংশ হিসেবে সবচেয়ে মূল্য ঘাটতি হয়েছে গাম্বিয়া (৪৫.০ শতাংশ), মালাউই (৩৬.৬ শতাংশ), সুরিনাম (৩১.৯ শতাংশ), কিরগিজস্তান (৩০.৬ শতাংশ) ও বেলিজ (২৯.২ শতাংশ)।
জিএফআইয়ের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী টম কার্ডামোন বলেন, ‘করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য টিকা ও ওষুধ কেনার জন্য যখন উন্নয়নশীল দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে তখন সেখানে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার শুল্ক ও কর ফাঁকি দেয়া হচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক যে খুব কম সংখ্যক সরকারই এত বিশাল ক্ষতির প্রতি মনোযোগ দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বিশ্ব বাজারে আমদানি পণ্যের দাম বেড়েছে: বাণিজ্য সচিব
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে স্পেন-এফবিসিসিআই এর আগ্রহ প্রকাশ
২ বছর আগে
কারাগারে ‘আত্মহত্যা’ করলেন অ্যান্টিভাইরাস গুরু জন ম্যাকাফি
কর ফাঁকি দেয়ার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যার্পণের সিদ্ধান্ত আসার কয়েক ঘণ্টা পর কারাকক্ষে পাওয়া গেল অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার গুরু জন ডেভিড ম্যাকাফির মৃতদেহ।
বুধবার বার্সেলোনার কাছে একটি কারগার থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ম্যাকাফির বয়স হয়েছিল ৭৫।
স্পেনের উত্তর-পূর্বে কাতালোনিয়া অঞ্চলের ব্রায়ানস-২ কারাগারে নিজ কারা কক্ষ থেকে ম্যাকাফির মৃতদেহ উদ্ধারের পর কাতালোনিয়ার বিচার বিভাগ একটি বিবৃতি দেয়। বিবৃতিতে জানিয়েছে, কারাগারের চিকিৎসকরা ম্যাকাফিকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সফল হননি।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট বেনিগনো মারা গেছেন
বিবৃতিতে বলা হয়, জুডিসিয়াল কর্মকর্তারা তার মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করছে। সবকিছুই ইঙ্গিত করে ম্যাকাফি নিজেকে নিজেই শেষ করে (আত্মহত্যা) দিয়েছেন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্পেনের একটি আদালত তাকে কর ফাঁকি দেয়ার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যার্পণের অনুমোদন দেয়। ম্যাকাফি প্রতিবেশীকে খুন, রিয়েল এস্টেটের ব্যবসার আড়ালে ট্যাক্স ফাঁকি, প্রকাশ্যে মাদক গ্রহণ, অস্ত্র রাখা ও ক্রিপ্টোকারেন্সিসহ যৌন কেলেংকারীর কারণে বেশ কিছুদিন পরপর আলোচনায় আসছিলেন। ২০১২ সালে তাকে প্রতিবেশী হত্যার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। কিন্তু কখনও তার বিরুদ্ধে কোনও অপরাধের জন্য অভিযোগপত্র গঠন করা হয়নি।
আরও পড়ুন: কানাডার আরেকটি আদিবাসী স্কুলে গণকবরের সন্ধান
ম্যাকাফি ১৯৪৫ সালে ১৮ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের সিন্ডারফোর্ডে জন্ম নেন। এই ব্রিটিশ-আমেরিকান কম্পিউটার প্রোগ্রামার দুইবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে প্রতিবেশী হত্যার অভিযোগ আনার পর তিনি দীর্ঘদিন পালিয়ে বেড়িয়েছেন।
৩ বছর আগে
বিদেশিরা বছরে ১২ হাজার কোটি টাকা কর ফাঁকি দিচ্ছেন: টিআইবি
বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিকরা বছরে ২৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা নিচ্ছেন এবং এর ফলে ১২ হাজার কোটি টাকার কর হারাচ্ছে রাষ্ট্র।
৪ বছর আগে