নিরাপত্তা পরিষদকে ঢাকা আরও বলেছে, মিয়ানমারকে স্মরণ করিয়ে দেয়া প্রয়োজন যে, যেকোনো সামরিক বা নিরাপত্তা অভিযান চলাকালে তাদের বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাও তাদের দায়িত্ব।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমারের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে গত ১৫ সেপ্টেম্বর নিরাপত্তা পরিষদের কাছে একটি চিঠি লিখেছে নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন।
এর আগে দুদেশের সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের সেনা মোতায়েন নিয়ে গত সপ্তাহে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোকে তলব করেছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত শুক্রবার থেকে মিয়ানমারের সাথে আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমান্তের নিকটবর্তী এলাকায় মাছ ধরার ট্রলারে করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করছে বাংলাদেশ।
রাষ্ট্রদূতকে তলব করে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারকে এ জাতীয় সন্দেহজনক গতিবিধি বন্ধ করতে বলা হয়েছে। যাতে দুই দেশের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি না ঘটে।
সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক সীমান্তে সামরিক বাহিনীর এ জাতীয় চলাফেরা সীমান্তের দুপাশে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে। বাংলাদেশ মিয়ানমারের সীমান্তে সতর্ক রয়েছে এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সুযোগ দেখছে না।
সীমান্ত এলকায় এভাবে সেনা মোতায়েন করা হলে প্রতিবেশী দেশসমূহ তা জানানোর রেওয়াজ থাকলেও মিয়ানমার বাংলাদেশকে অবগত করেনি। সামনে মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচন। যে কোনো নির্বাচনের আগে অভ্যন্তরীণভাবে সবসময় পরিবর্তন হয় এবং এটি তারও একটি অংশ হতে পারে।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের সেনবাহিনীর সহিংসতার শিকার হয়ে ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশ উদারতা দেখিয়ে তাদের আশ্রয় দিলেও প্রায় তিন বছর পরেও নিজেদের নাগিরকদের ফিরিয়ে নিতে টালবাহানা করছে মিয়ানমার।