মেঘনা নদীতে বিশাল এলাকাজুড়ে ফার্নেস অয়েল ছড়িয়ে পড়ায় দূষিত হয়েছে পরিবেশ। ১১ লাখ লিটার তেল নিয়ে একটি জাহাজ নদীতে ডুবি যাওয়ায় এই বিপর্যয় হয়েছে- যা জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।
ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পরও (সোমবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত) ডুবে যাওয়া জাহাজটি তুলতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যদিও দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ তা উদ্ধার করতে রওনা হয়েছে।
ঘটনা তদন্তে পদ্মা অয়েল কোম্পানি চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবং কমিটিকে চার দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটির দুই সদস্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ভোলা মৎস্য অধিদপ্তরের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জামাল হোসেন বলেন, তেল পড়ায় নদীতে মাছ বিপদে পড়বে।
ভোলা কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট হাসান মেহেদী আরিফ জানান, তারা নদী থেকে তেল অপসারণে নিয়োজিত রয়েছে এবং ইতোমধ্যে দুই লাখ লিটার তেল উত্তোলন করা হয়েছে।
রবিবার ভোরে ভোলা জেলার সদর উপজেলায় ঘন কুয়াশার কারণে মেঘনা নদীতে অপর একটি জাহাজের ধাক্কায় ১১ লাখ লিটার জ্বালানিবাহী একটি লাইটার জাহাজ ডুবে গেছে।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের গণমাধ্যম কর্মকর্তা কে এম শফিউল কিঞ্জল জানান, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আসা ‘সাগর নন্দিনী-২’ নামের জাহাজটি রবিবার ভোর ৪টার দিকে চাঁদপুর পদ্মা ডিপোর দিকে যাওয়ার সময় তুলতুলির মাঝের চরে আরেকটি জাহাজের ধাক্কায় মেঘনায় ডুবে যায়।
ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কম থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সমস্ত জ্বালানি নদীতে ছিটকে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন পাত্রে জ্বালানি সংগ্রহ করেন।
সৌভাগ্যবশত, জাহাজের ১৩ জন ক্রু সদস্যকে এলাকার মধ্য দিয়ে যাওয়া অন্য একটি জাহাজের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়েছে।