এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেকের সাপ্তাহিক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকের সভা ৪,৪৬০ কোটি ৫৪ লাখ টাকার মোট সাতটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে।’
মোট ব্যয়ের মধ্যে ৪,৩৪৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা আসবে সরকারি তহবিল থেকে এবং বাকি ১১৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা সংশ্লিষ্ট দুই সংস্থা রাজশাহী সিটি করপোরেশন এবং পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড নিজস্ব অর্থায়নে করবে।
অনুমোদন পাওয়া সাত প্রকল্পের মধ্যে তিনটি নতুন এবং চারটি সংশোধিত।
মোংলা বন্দরের জন্য সহায়ক জলযান সংগ্রহ প্রকল্প সম্পর্কে মন্ত্রী জানান, ৭৬৭ কোটি ২৫ লাখ টাকার এ প্রকল্প মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ২০২২ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে।
এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো মোংলা বন্দরে নিরাপদ চ্যানেল তৈরি, সমুদ্রগামী জাহাজ সুষ্ঠুভাবে হ্যান্ডলিং ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় জরুরি উদ্ধার কাজ পরিচালনা করা।
প্রকল্পটির প্রধান কার্যক্রমের মাঝে আছে একটি পাইলট মাদার ভেসেল সংগ্রহ, দুটি টাগবোট সংগ্রহ, একটি সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ ভেসেল সংগ্রহ, একটি সার্ভে অ্যান্ড রিসার্স ভেসেল সংগ্রহ, একটি বয়া লেইং ভেসেল সংগ্রহ এবং একটি প্রিন্টার ও একটি ফ্যাক্সসহ কম্পিউটার ও ফটোকপি মেশিন ক্রয়।
বাকি দুই নতুন প্রকল্প হলো- ২২০ কোটি ৫৯ লাখ টাকায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সক্ষমতা জোরদারকরণ প্রকল্প এবং ১৯১ কোটি ৩৮ লাখ টাকায় সিলেট, লালমনিরহাট ও বরিশাল ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি স্থাপন প্রকল্প।
একনেক আরো ৬২৩ কোটি টাকা ব্যয় বাড়িয়ে পিজিসিবির অধীনে পাওয়ার গ্রিড নেটওয়ার্ক স্ট্রেংদেনিং প্রকল্পের প্রথম সংশোধন অনুমোদন করেছে। এখন প্রকল্পের ব্যয় ১৩,৭০৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা থেকে বেড়ে ১৪,৩২৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নের সময় ২০২১ সালের জুন থেকে বৃদ্ধি করে ২০২৪ সালের জুন নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাকি তিনটি সংশোধিত প্রকল্প হলো- আরো ৫৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয় বৃদ্ধি করে রাজশাহী মহানগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণে নর্দমা নির্মাণ তৃতীয় পর্যায় (১ম সংশোধিত) প্রকল্প, ১০২ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয় বাড়িয়ে ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণা জেলা অংশে সীমান্ত সড়ক নির্মাণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প এবং ৮১৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয়ে মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিল সম্প্রসারণসহ ভূমি উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প।