যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) কর্মরত আট জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সনদ জাল পাওয়ায় ছয়জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত এবং দুজনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন ও শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শনিবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আব্দুর রশিদের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বরখাস্ত ব্যক্তিরা হলেন- জাহিদ হাসান (স্নাতক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) মো. জাহাঙ্গীর আলম (স্নাতক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), সেকশন অফিসার (গ্রেড-২) মো. সাকিব ইসলাম (স্নাতক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), সেকশন অফিসার (গ্রেড-২) মোছা. হাসনা হেনা (স্নাতক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), সিনিয়র ক্লিনার দিলীপ হরিজন (অষ্টম শ্রেণি), ক্লিনার বাসুদেব দাস (অষ্টম শ্রেণি)।
আরও পড়ুন: উত্তরপত্র মূল্যায়নে অসঙ্গতি: যবিপ্রবির এক শিক্ষকের পদাবনতি
একইসঙ্গে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো ব্যক্তিরা হলেন- সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) মো. মহিদুল ইসলাম (স্নাতকোত্তর, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়) এবং মেকানিক মো. জাকির হোসেন (স্নাতকোত্তর, সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়)।
এর আগে এদিন দুপুরে যবিপ্রবির উপাচার্য ও রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বোর্ডের ৯০তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে সনদ যাচাই সংক্রান্ত তিনটি আলাদা কমিটি ৮২তম রিজেন্ট বোর্ডে তাদের প্রতিবেদন পেশ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন ও শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী তদন্ত বোর্ড গঠন করা হয়। এ রিজেন্ট বোর্ডের সভায় তদন্ত বোর্ড তাদের প্রতিবেদন পেশ করে।
পরবর্তীতে রিজেন্ট বোর্ড ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় জাল সনদধারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুন: হোম সারাদেশ খুলনা যবিপ্রবির ল্যাবে ৮ জনের দেহে করোনার ভারতীয় ভেরিয়েন্ট শনাক্ত