যাত্রীদের মধ্যে বেশিরভাগ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, পর্যটন ও ব্যবসায় ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া বাংলাদেশি নাগরিক এবং কিছু সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন।
ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, ওয়াশিংটন ডুলস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (আইএডি) থেকে শুক্রবার বাংলাদেশের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রবিবার ভোর ৪টায় (স্থানীয় সময়) অবতরণ করবে।
গত ৪ মে যুক্তরাষ্ট্রে আটকা পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য কাতারের বিমান সংস্থার বিমানটি চার্টার্ড করেছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে ৩০ মার্চ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং নিউইয়র্ক ও লস অ্যাঞ্জেলেসের দুই কনস্যুলেটে তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের কাছ থেকে তথ্য চেয়ে একটি নোটিশ প্রচার করে।
পরে বিপুল সংখ্যক আটকে থাকা বাংলাদেশি নাগরিক তাদের নিজস্ব ব্যয়ে একটি বিশেষ চার্টার্ড ফ্লাইটে বাংলাদেশে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করে। ৩০ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ মিশনগুলোতে ইমেইলের মাধ্যমে তাদের তথ্য সরবরাহ করেন।
তারা বাংলাদেশ মিশনগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারকে একটি বিশেষ বিমানের মাধ্যমে তাদেরকে ফিরতে সহায়তা করার অনুরোধ জানায়।
কাতার এয়ারলাইন্সের বিশেষ চার্টার্ড এ ৩৫০-৯০০ এয়ারবাসটি ১৬ মে সন্ধ্যা ৭টায় দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
দোহা বিমানবন্দরে এক ঘণ্টা প্রযুক্তিগত বিরতির পর বিমানটি স্থানীয় সময় রাত ৮টায় ঢাকার উদ্দেশে দোহা ত্যাগ করবে।
বিরতির সময় সকল যাত্রীকে বিমানেই অবস্থান করতে হবে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস।
ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পরে যাত্রীদেরকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ছাড়পত্র বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের কাছে জমা দিতে হবে।
সকল যাত্রীকে কোভিড-19 উপসর্গমুক্ত মেডিকেল ছাড়পত্র বহন করতে হবে।