‘যখন আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত হব, তখন সভা হবে’ জানিয়ে বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সমঝোতার মাধ্যমেই বৈঠকটি পিছিয়ে দেয়া হয়েছে।’
তবে কখন বা কতদিন পর নদী কমিশনের এ সভাটি হতে পারে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটা পরবর্তীতে তাদের ‘হোমওয়ার্কের’ ওপর নির্ভর করবে।
রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘বেইজিং ঘোষণার’ ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. মোমেন জানান, তারা জেআরসি সভার জন্য তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে মনে হয়েছে, কোথায় কোথায় জানি দুর্বলতা রয়ে গেছে। আর যথাযথ তথ্য ছাড়া বৈঠক ফলপ্রসূ হয় না।
ভারতের নাগরিকত্ব বিল (এনআরসি) প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নদী কমিশনের সভা পেছানোর সাথে এরআরসি’র ‘কোনো সম্পর্ক নেই’।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার থেকে ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে দুই দিনব্যাপী প্রতিবেশী দুই দেশের যৌথ নদী কমিশনের সভাটি হওয়ার কথা ছিল।
মূলত অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের বিষয় নিয়ে বার্ষিক এ বৈঠকে এবার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষ্যে ছয়টি অভিন্ন নদীর হালনাগাদ করা তথ্য-উপাত্ত নিয়ে আলোচনার কথা ছিল। ওই আলোচনার ভিত্তিতে দুই দেশ ছয়টি অভিন্ন নদীর রূপরেখা চূড়ান্ত করার প্রস্তুতি নিত। ছয় নদীর মধ্যে রয়েছে- মুহুরি, মনু, ধরলা, খাওয়াই, গোমতি ও দুধকুমার।
এর আগে, ২০১১ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেকার তিস্তা এবং ফেনী নামে দুটি নদীর পানি ভাগাভাগির চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছিল, কিন্তু তখনো কোনো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, ভারত কাউকে বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য চাপ দিচ্ছে না।
তিনি জানান, ভারতে অবৈধভাবে বসবাসরত কোনো বাংলাদেশি থাকলে তা বাংলাদেশকে জানানোর জন্য নয়া দিল্লিকে অনুরোধ করা হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রেও একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।
ঐতিহাসিকভাবে ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ আশা করে ভারত শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখবে।
তিনি আরও বলেন, এনআরসিকে ভারত তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে অভিহিত করেছে এবং ঢাকাকে আশ্বাস্ত করেছে যে, এটি কোনোভাবেই বাংলাদেশের ওপর প্রভাব ফেলবে না।