রাঙমাটির সদর উপজেলার বন্দুকভাঙ্গায় সন্ত্রাসীদের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
শুক্রবার ভোর রাতে নানিয়ারচর সেনা জোনের সদস্যরা এই সব অস্ত্র উদ্ধার করে।
সূত্র জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নানিয়ারচর জোনের আওতাধীন বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নের অন্তর্গত ত্রিপুরাপাড়া এলাকায় ইউপিডিাফে (মূল) দলের ১৬-১৭ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল চাঁদা সংগ্রহ ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য ক্যাম্প স্থাপন করে অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ভারত গেল সেনাবাহিনীর সাইক্লিং দল
এমন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোর রাত ৪টার দিকে নানিয়ারচর জোন এবং স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় যৌথ বাহিনী সন্ত্রাসীদের আস্তায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, গোলাবারুল ও সরঞ্জাম উদ্ধার করে। তবে সেনা সদস্যরা আস্থানায় পৌঁছানোর আগে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
এ সময় একে ৪৭ (চায়না) রাইফেল ম্যাগজিনসহ ১৮ রাউন্ড এ্যামুনিশন, একটি ৭.৬৫ মি: মি: অটোমেটিক পিস্তল চায়না ম্যাগজিনসহ ২ রাউন্ড এ্যামুনিশন, দেশীয় এলজি, ২ রাউন্ড কার্তুজ, ওয়াকিটকি সেট, ৩ সেট ইউপিডিএফের (মূল) ব্যবহৃত ইউনিফর্ম, কালো ব্যাগ, রাইজিং ষ্টার মাইক ম্যাগাজিন, ল্যান্ড ফোন (সীম দ্বারা পরিচালিত), দুটি মোবাইল ফোন, তিনটি চাঁদার রশিদ ও নগদ দুই লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ দেশি বিদেশি পুরোনো মুদ্রাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর ও বিদ্যানন্দের উদ্যোগে খাগড়াছড়িতে চিকিৎসা সেবা প্রদান
এ ব্যাপারে রাঙামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপশ রঞ্জন পাল জানান, যৌথবাহিনীর সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করেন। সশস্ত্র সন্ত্রসীরা পালিয়ে যাওয়ার কারণে কাউকে আটক করা না গেলেও তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র, গুলি ও বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। পরবর্তীতে উদ্ধারকৃত অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য দ্রব্য সামগ্রী নানিয়ারচর থানায় হস্তান্তর করা হয়। এই সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা কার্যক্রম চলছে।