রাজধানীর মালিবাগ এলাকার প্যারামাউন্ট টাওয়ার থেকে জাল সনদপত্র তৈরির সঙ্গে জড়িত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুয়া উপাচার্যসহ প্রতারক চক্রের ছয় সদস্যকে আটক করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- ডা. মো. নুরুল হক সরকার ওরফে শেখ গনি সরকার (৭২) ও তার সহকারী মো. মোয়াজ্জেম হোসেন (৫৮) এবং চার ভুয়া চিকিৎসক ডা. মো. সাইদুর রহমান ওরফে নজরুল (৩০), মো. মাহফুজুর রহমান ওরফে মাহফুজ (৩৭), ডা. মো. আমান উল্লাহ (৩৮) ও দেবাশীষ কুন্ডু (৫২)। নুরুল হক প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির জাল সনদপত্র বিক্রি করতেন।
অভিযুক্ত নুরুল হক তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ১৪৪ ধরনের জাল সনদপত্র তৈরি করে একটি চক্র গঠন করেন।
আরও পড়ুন: দূতাবাসে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ১
বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তারা কোনো ক্লাস ও পরীক্ষা ছাড়াই এগুলো বিক্রি করত।
এই চক্রটি গত দুই দশক ধরে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির জাল সনদপত্র বিক্রি করে আসছিল।
ডিএমপির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করার জন্য এই চক্রটি ভুয়া ওয়েবসাইট, বিভিন্ন সংবাদপত্রে চটকদার বিজ্ঞাপন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কম্পিউটারাইজড ছবি যার কোনো অস্তিত্বই নেই, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাল আদেশ, হাইকোর্টে জাল রিট ব্যবহার করতো।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির প্রতারণার মামলা: তাহসান খানের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আবু আশরাফ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের ওয়ারী জোনাল টিম বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
এ সময় বিপুল সনদপত্র, প্রশংসাপত্র, প্রতিলিপি, প্রবেশপত্র, সিল, ব্যাংক চেক, লিফলেট, পেপার কাটিং, নবদিগন্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ডক্টরস চেম্বারের কপি, জাল সনদপত্র তৈরিতে ব্যবহৃত কম্পিউটার ও প্রিন্টার জব্দ করা হয়েছে।