দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক আবদুর রহমান সরদার এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রহিম ওরফে আরিফ, জিকু ও আবু বক্কর সিদ্দিক। তাদের তিনজনই পলাতক।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মন্টি, মিলন, আকাশ ওরফে রাসেল, ফরহাদ হোসেন, সজিব আহমেদ খান, শহীন চাঁন খাদেম ও মোহাম্মদ আলী হাওলাদার বাবু। এদের মধ্যে মোহাম্মদ আলী হাওলাদার বাবু ছাড়া সবাই পলাতক।
যাবজ্জীবন পাওয়া আসামিদের প্রত্যেকের ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৪ জুলাই রাতে বাদী তার ভাবির মাধ্যমে জানতে পারেন কে বা কারা তার ছোট ভাই রজবকে (ভিকটিম) ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। খবর পেয়ে বাদী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তার ভাইয়ের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। সেখানে লোকজনের কাছে জানতে পারেন রুবেল এবং বাদীর ভাই রজব মোবাইলে ফেক্সিলোড করার জন্য নবাবপুর রোডে যাওয়া মাত্র আসামিরা বাদীর ভাইকে ১৬/এ কোর্ট হাউস স্ট্রিটের কাছে নিয়ে গিয়ে বুকে ও পেটে তিনটি ছুরিকাঘাত করে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে বাদীর ভাই কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন।
২০১২ সালের ৫ ডিসেম্বর মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা (উপ-পরিদর্শক) বি এম নাজমুল হুদা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।