ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন (সুনামগঞ্জ-১) বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সরাসরি বলতে পারে না যে (ত্রুটিপূর্ণ তালিকা প্রকাশে) তাদের দায়িত্ব নেই। এ তালিকা যেখান থেকেই সংগ্রহ করা হোক না কেন তা যাচাই করার দায়িত্ব এ মন্ত্রণালয়ের।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীকে এক সম্পূরক প্রশ্ন করার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সাংসদ বলেন, তালিকায় কিছু অসঙ্গতির কারণে আজ সরকারের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি অত্যন্ত ব্যথিত হয়েছি...এমনকি প্রকৃত রাজাকারদের নাম এ তালিকায় আসেনি।’
পরে রতন প্রশ্ন রাখেন যে প্রকৃত রাজাকারের তালিকা ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের আগে প্রকাশ করা হবে কি না।
জবাবে মন্ত্রী জানান, তালিকায় ভুল থাকায় তারা আগেই দুঃখ প্রকাশ করে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
‘আমরা ভুলের পুনরাবৃত্তি রোধে সম্পূর্ণ যাচাই-বাছাই এবং সবার সহযোগিতা নিয়ে ভবিষ্যতে এ তালিকা প্রকাশ করব,’ বলেন মোজাম্মেল হক।
আওয়ামী লীগের সাংসদ ফরিদুল হক খানের (জামালপুর-২) তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, তার মন্ত্রণালয় রাজাকারদের তালিকা প্রস্তুত করেনি। তাদের অনুরোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এটি পাঠিয়েছে।
‘তালিকা যেমন ছিল সেটাই প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। যেহেতু মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় তালিকা প্রস্তুত করেনি তাই এ বিষয়ে কোনো অবহেলা থাকলে তার বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিতে পারে,’ বলেন মোজাম্মেল হক।
তবে সরকারি দলের আরেক সাংসদ মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীকে দায়িত্ব নিতে হবে। কারণ তিনি তালিকা প্রকাশ করেছেন।
এদিকে, গণফোরামের সাংসদ সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ (মৌলভীবাজার-২) তার সম্পূরক প্রশ্নে মন্ত্রীকে মুজিব বর্ষে রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে দেশকে বিভক্ত না করার আহ্বান জানান।
জবাবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, তিনি এ পরামর্শ বিবেচনা করবেন।