স্বজন পরিবহনের এক আবেদনের শুনানিতে রবিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত বছরের ৩ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারার কাছে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারান রাজীব। দুই বাসের চাপায় তার ডান হাত কনুইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ১৩ দিন চিকিৎসার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৬ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজীব মারা যান।
আদালতে বাস কোম্পানির পক্ষে অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম বাবুল এবং রাজীবের পরিবারের পক্ষে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
আপিল বেঞ্চ জানায়, রাজীবের পরিবারের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ‘স্বজন পরিবহনকে’ এক মাসের মধ্যে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে এবং এরপর তাদের আবেদন বিবেচনায় নেয়া হবে। এছাড়া বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিটিআরসি) কাছ থেকে থেকেও ক্ষতিপূরণ আদায়ের বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হবে।
অ্যাডভোকেট বাবুল বলেন, হাইকোর্ট ইতিমধ্যে তার রায়ের অনুলিপি প্রকাশ করেছে এবং তারা ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে লিভ টু আপিল করবেন।
এর আগে গত ২০ জুন রাজীবের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ক্ষতিপূরণের মোট অর্থের মধ্যে ২৫ লাখ টাকা ‘স্বজন পরিবহনের’ মালিকপক্ষকে এবং বাকি টাকা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনকে (বিআরটিসি) দিতে বলা হয়।
গত বছরের ৪ এপ্রিল রাজীবের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
গত ৮ মে রাজীবের দুই ভাইকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার আদেশসহ রুল জারি করে হাইকোর্ট। বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে এক মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণের এক কোটি টাকার মধ্যে ২৫ লাখ করে ৫০ লাখ টাকা জমা দিতে বলা হয়।
এ রায়ের বিরুদ্ধে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহন আপিল বিভাগে আবেদন করে। ২২ মে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য দায় নিরূপণে একটি স্বাধীন কমিটি গঠন করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেয়। এ অনুসারে দায় নিরূপণে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি গত অক্টোবরে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে।