বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের কিছু রাষ্ট্রদূত এবং নতুন করে নিয়োগপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে ‘নেতিবাচক প্রচারকে খুবই দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মহাপরিচালক (পাবলিক ডিপ্লোমেসি) তৌফিক হাসান বলেছেন, ‘এটি সত্যিই খুবই দুঃখজনক। কারণ একজন রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার ২০-২৫ বছরের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছান। যদি তার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা না থাকে, তাহলে সরকার তাকে নিয়োগ দেয় না।’
তৌফিক হাসান সাংবাদিকদের প্রতি প্রতিবেদন প্রকাশের আগে তথ্য যাচাই করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্র সচিবের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করবেন খুরশেদ আলম: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মহাপরিচালক বলেন, যারা রাষ্ট্রদূতদের বিরুদ্ধে কাজ করছেন, তারা ভালো কাজ করছেন না এবং এর মাধ্যমে তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা বাংলাদেশ সরকারের নেতিবাচক ভাবমূর্তি বিদেশের মাটিতে তুলে ধরছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ‘এমন কোনো কাজ করবেন না যাতে বাংলাদেশের নেতিবাচক ভাবমূর্তি বাইরে ছড়িয়ে পড়ে।'
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তৌফিক বলেন, সরকার রাষ্ট্রদূতদের অবসরের পর চাকরির মেয়াদ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, প্রায় সাত থেকে আটজন রাষ্ট্রদূতের চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে এবং তাদের চাকরি মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে না। আমার মনে হয় এটা সংস্কারের একটা অংশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবস্থানরত নাগরিকদের জন্য ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ