বিকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি তাদের স্বাগত জানান। সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
চার দূত হলেন- যুক্তরাজ্যের রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন, গুয়াতেমালার জিওভান্নি রেনে ক্যাস্টিলো পোলানকো, কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের আন্দ্রে পোহ এবং বেলজিয়ামের ফ্রাঙ্কোয়েস দেলহাই।
বৈঠকে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, ‘যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার। বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার, যা ক্রমান্বয়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে।’
রাষ্ট্রপ্রধান এসময় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক সমর্থন এবং ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথের বৈঠকের কথা স্মরণ করেন।
তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে সমর্থন জানানোর জন্য ব্রিটেনের সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সন্তুষ্টি প্রকাশ করে হামিদ বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক দৃঢ়ভাবে বাড়ছে।’ বাংলাদেশে তার মেয়াদে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও বাড়বে বলা আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশকে বিপুল সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে উল্লেখ করে আবদুল হামিদ এ সুযোগ কাজে লাগাতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রাষ্ট্রপতি দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন এবং ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
ব্রিটিশ হাই কমিশনারের আগে তিন অনাবাসিক দূত পৃথকভাবে তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেন। দূতরা বাংলাদেশে দায়িত্বপালনকালে রাষ্ট্রপতির কাছে সবধরনের সহযোগিতা চান।
বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে আর্থ-সামাজিক খাতে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের প্রশংসা করে দূতেরা নিজ নিজ দেশের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়ার নিশ্চয়তা দেন।
রাষ্ট্রপতি বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে পর্যটন খাতে কঙ্গো, বেলজিয়াম ও গুয়েতেমালাকে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেন।
এর আগে দূতরা বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি দল তাদের পৃথকভাবে গার্ড অব অনার দেয়।
এসময় রাষ্ট্রপতির সচিবরা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।