বুধবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর ফলে পূর্বনির্ধারিত তারিখ অনুসারে বৃহস্পতিবার থেকে ওই পরীক্ষা অনুষ্ঠানে আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর উস সাদিক।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর উস সাদিক বলেন, রিট খারিজ হওয়ায় পরীক্ষা অনুষ্ঠানে বাধা নেই। ১ অক্টোবর ওই পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য দিন নির্ধারিত হয়েছে। নির্ধারিত তারিখে পরীক্ষা হবে। এর আগে ওই পরীক্ষার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে ‘এ’ লেভেল পরীক্ষার্থী তামান্না তাবাসসুম কবির ২৭ সেপ্টেম্বর ওই রিটটি করেন।
রিটে শিক্ষাসচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাসচিব, মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার অতিরিক্ত সচিব এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের এক্সাম অপারেশন্সের পরিচালককে বিবাদী করা হয়।
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ কাউন্সিল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ বছরের অক্টোবর-নভেম্বর (২০২০) সেশনের ইন্টারন্যাশনাল জিসিএসই, আইজিসিএসই,‘ও’ লেভেল এবং ‘এ’ লেভেল পর্যায়ের পরীক্ষা নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে বলেও জানিয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিল।
এতে বলা হয়েছে, আসন্ন অক্টোবর-নভেম্বর সেশনের পরীক্ষায় যুক্তরাজ্যের পরীক্ষা বোর্ড পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করবে। পরীক্ষা ছাড়া কোনো ধরনের মূল্যায়ন হবে না। তবে, আর্ট ও ডিজাইন পরীক্ষা এর বাইরে থাকবে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য বাধ্যতামূলক ফেস মাস্ক পরিধান, পরীক্ষার্থীদের শারীরিক দূরত্ব, পরীক্ষাকেন্দ্র নিয়মিত পরিষ্কার, স্যানিটাইজেশনসহ ব্রিটিশ কাউন্সিলের সুরক্ষা প্রটোকলগুলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ ও খুলনার সব পরীক্ষা কেন্দ্রে মানা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিল।
রিট আবেদনে বলা হয়, চলমান কোভিড-১৯ মহামারিতে গত ছয় মাস তাদের ক্লাস বন্ধ থাকায় পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারেনি। ও লেভেল এবং এ লেভেলের অনেক শিক্ষার্থী ১ অক্টোবর পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য তাদের প্রবেশপত্রও নেয়নি। তাই পরীক্ষার কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয় ওই রিটে।