এনইসি চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এনইসি সভায় পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদন করা হয়।
‘বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০২১-২০৪১)’ অনুযায়ী, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে আধুনিক বিশ্বের সাথে সংগতিপূর্ণ একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ যার মাথাপিছু আয় দাঁড়াবে বর্তমান বাজার মূল্যে ১২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার, জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ, চরম দারিদ্র্য নেমে আসবে দশমিক ৬৮ শতাংশে এবং দারিদ্র্য হার হবে ৩ শতাংশের নিচে।
এর প্রক্ষেপণে আরও বলা হয়েছে, ২০৩১ সাল নাগাদ জিডিপির প্রবৃদ্ধি বেড়ে হবে ৯ শতাংশ, দারিদ্র্য হার ২০২০ সালের (ভিত্তি বছর) ১৮ দশমিক ৮২ শতাংশ থেকে কমে ৭ শতাংশ এবং চরম দারিদ্র্য ২০২০ সালের ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ হবে।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, ‘দারিদ্র্য দূর, সুশাসন আরও সুসংহত করা এবং বাংলাদেশকে আধুনিক ও বিশ্বমানের ডিজিটাল দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ ঐতিহাসিক ডকুমেন্টটি প্রণয়ন ও অনুমোদন করা হয়েছে।’
তিনি জানান, চার প্রাতিষ্ঠানিক স্তম্ভ- সুশাসন, গণতন্ত্রায়ণ, বিকেন্দ্রীকরণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর ভিত্তি করে আগামী ২০ বছরের জন্য পরিকল্পনাটির নকশা করা হয়েছে।
মান্নান বলেন, এনইসি প্রেক্ষিত পরিকল্পনাটি অনুমোদন করলেও মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো এতে আগামী এক মাসের মধ্যে আরও কিছু সংযোজন করতে পারবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রেক্ষিত পরিকল্পনার আরও লক্ষ্য হলো শিল্পায়ন ও এর অবকাঠামোগত রূপান্তর নিশ্চিত করা এবং কৃষি খাতে অনুকরণীয় পরিবর্তন আনা ও রপ্তানিমুখী অর্থনীতি গড়ে তোলা।