ডব্লিউএফপি আশা করছে, ২০২১ সালের মধ্যে কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোর ৩০ ভাগ লোকের কাছে কৃষকদের বাজার পৌঁছে দিবে তারা। এতে মাসিক লেনদেন প্রায় পাঁচ লাখ মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে।
বুধবার ডব্লিউএফপির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কক্সবাজারের স্থানীয় কৃষক এবং ব্যবসায়ীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি হওয়া ‘ফুড কর্নারগুলো’ স্থানীয় ও রোহিঙ্গা উভয় সম্প্রদায় উপকৃত হবেন।
কৃষকদের বাজার উদ্যোগের অংশ হিসেবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে থাকা স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সতেজ খাবারের এ দোকানগুলোতে ডব্লিউএফপির ভাউচার আউটলেট ও কৃষকদের বাজার তাদের পণ্য বিক্রি করছে।
এসব দোকান থেকে রোহিঙ্গা পরিবারগুলো তাদের কাছে থাকা ডব্লিউএফপির কার্ড ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের খাবার কিনতে পারবেন। ডব্লিউএফপি কৃষক ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এ কার্ডগুলো নিয়ে অর্থ দিয়ে দিবে।
ডব্লিউএফপির বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রিচার্ড রাগেন বলেন, এ উদ্যোগের দ্বৈত সুবিধা মানবিক সহায়তাতে কাজে লাগবে। স্থানীয় সম্প্রদায় ও রোহিঙ্গা পরিবারগুলোকে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে এবং সামাজিক সংহতিতে অবদান রাখতে পেরে ডব্লিউএফপি গর্বিত।
তিনি বলেন, ‘এ উদ্যোগকে আরও বেশি ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছে ডব্লিউএফপি যাতে স্থানীয় কৃষক এবং খুচরা বিক্রেতারা এতে উপকৃত হন।’
মহামারির কারণে কৃষকের বাজার সুবিধা বন্ধ করার আগে, ১২ জন স্থানীয় সম্প্রদায়ের ছোট খামারি ও ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে প্রতি মাসে প্রায় ৪৭ হাজার মার্কিন ডলার স্থানান্তর করেছে সংস্থাটি।
ফের চারটি কৃষকের বাজারের চালুর ফলে প্রতি মাসে এক লাখ মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থ স্থানান্তর করবে সংস্থাটি।