বিশ্ব মানবিক দিবস উপলক্ষে ভার্চুয়াল সেমিনারে বক্তারা জাতিসংঘের এজেন্সি এবং আন্তর্জাতিক এজেন্সিগুলোকে রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য রাজনৈতিক উদ্যোগকে অধিকতর জোরদার করার আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথি হিসেবে সেমিনারে যোগ দিয়ে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচাল রাশেদুল ইসলাম বলেন, মিয়ানমারের নাগরিকদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনই হতে পারে মানবতাবাদের সর্বোত্তম উদাহরণ।
তিনি স্থানীয় এনজিওদের প্রচেষ্টা এবং কোভিড-১৯ সম্মুখ যোদ্ধাদের প্রশংসা করেন।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ, বিশেষ করে এর উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার জলবায়ু বিপর্যয়, কোভিড-১৯ এবং বন্যাসহ অসংখ্য সমস্যার মুখোমুখি রয়েছে।
আটটি স্থানীয় সম্মুখ যোদ্ধার এনজিও কর্মীরা জানান, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় প্রায় ১২৯টি এনজিওর ১৬ হাজার কর্মী কর্মরত রয়েছেন যেখানে প্রায় এক হাজার সম্মুখ যোদ্ধা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
তারা আন্তর্জাতিক এজেন্সিগুলোকে অংশীদারিত্বের নীতিকে সম্মান করার এবং স্থানীয় এনজিওদের সাথে সমান আচরণ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানান।
সেমিনারে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আশরাফুল আফসারের সভাপতিত্বে ইউএনএইচসিআরের অতিরিক্ত আরআরআরসি শামসুদ্দোহা, আইওএম’র ড. সামির হালদার এবং আইএসসিজ’র (আন্তঃখাত সমন্বয় গ্রুপ) সৈকত উপস্থিত ছিলেন।