কোভিড-১৯ মহামারি এবং মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনের কারণে ঢাকা ও নেপিদো’র মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত আলোচনা প্রায় এক বছর ধরে স্থগিত রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। বেইজিং থেকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের প্রতিনিধিদের সাথে যোগ দেবেন চীনের ভাইস মিনিস্টার লুও ঝাওহুই।
দুপুর ২টায় (স্থানীয় সময়) বৈঠকটি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী রোহিঙ্গারা বিবেচিত হচ্ছেন বাংলাদেশি হিসাবে: সৌদি দূত
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনকে এ সংকটের একমাত্র সমাধান হিসেবে দেখছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। যত দ্রুত সম্ভব প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় বাংলাদেশ।
প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশ ও চীন বৈঠকে মিয়ানমারকে তাদের মতামত জানাবে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: মিয়ানমারের গুরুত্বের অভাব
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন জানান, যাচাই বাছাইয়ের জন্য ৮ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গার একটি তালিকা মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ।
‘কিন্তু মিয়ানমার মাত্র ৪২ হাজার মানুষের তথ্য যাচাই করেছে। এ বিষয়ে তাদের গুরুত্বের অভাব রয়েছে,’ বলেন তিনি।
রোহিঙ্গাদের ফেরাতে মিয়ানমার রাজি থাকলেও আন্তরিক নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ যথাযথভাবে তার দায়িত্ব পালন করলেও মিয়ানমার তা করছে না।
তবে প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কারণ ১৯৭৮ এবং ১৯৯২ সালে নিজ নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়েছিল মিয়ানমার।
রোহিঙ্গা সংকট
মানুষ স্বপ্ন নিয়ে বাঁচে। রোহিঙ্গা শরণার্থীরাও স্বপ্ন দেখেছিল ২০২০ সালে মর্যাদার সাথে তাদের নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের। কিন্তু তাদের স্বপ্ন পূরণ হয়নি। এখন শুরু হয়েছে নতুন একটি বছর, আবারও স্বপ্ন দেখছেন তারা।
মিয়ানমার সরকারের প্রতি রোহিঙ্গাদের আস্থার অভাবের কারণে ২০১৮ সালের নভেম্বরে এবং ২০১৯ সালের আগস্টে দুবার প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
ফিরে দেখা ২০২০: রোহিঙ্গাদের জন্য যন্ত্রণার আরও এক বছর
বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর প্রত্যাবাসন চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।
২০১৮ সালের ১৬ জানুায়ারি ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ সম্পর্কিত একটি চুক্তিতেও স্বাক্ষর করে ঢাকা-নেপিদো, যা রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে সহায়ক হবে বলে মনে করা হয়েছিল।