ব্রাসেলস সফরের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার তিনি গ্রুপ অব প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স অব সোসিয়ালিস্ট অ্যান্ড ডেমোক্রেটিকের ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য (এমইপি) এবং পার্লামেন্টের মানবাধিকার কমিটির সভাপতি মারিয়া অ্যারেনার সাথে বৈঠক করেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে অ্যারেনার সাথে মতবিনিময় করেন বলে শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
শাহরিয়ার আলম মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় আন্তর্জাতিক আদালতের (আইসিজে) দেয়া আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বিবৃতি প্রদান করায় এমইপিকে ধন্যবাদ জানান।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি সমাজ ও দেশকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের বাধ্যবাধকতা অনুসারে আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগের মাধ্যমে নিজস্ব ভারসাম্যের খোঁজ করতে হবে।
ব্যবসা ও মানবাধিকার নিয়ে এমইপির বিশেষ আগ্রহের জবাবে শাহরিয়ার আলম বাংলাদেশ থেকে নেয়া পোশাকের ন্যায্যদাম নিশ্চিত এবং এ শিল্পে চলমান সংস্কার উদ্যোগকে উৎসাহিত করার জন্য ইউরোপীয় নীতিনির্ধারকদের ক্রেতা ও ভোক্তাদের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
এ সময় এমইপি অ্যারেনা নির্বাচনী সংস্কারের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেয়া সুপারিশগুলো অনুসরণের ওপর জোর দেন।
একই দিনে শাহরিয়ার আলম আইডেন্টিটি অ্যান্ড ডেমোক্রেসি গ্রুপের এমইপি এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড কমিটির দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক দূত ম্যাক্সিমিলিয়ান ক্রাহের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
তারা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের অগ্রগতি এবং ইইউ-বাংলাদেশ পোশাক বাণিজ্যের ভবিষ্যত সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
এমইপি ক্রাহ আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরার ক্ষেত্রে সমর্থন দেয়ার আশ্বাস দেন।
প্রতিমন্ত্রী ব্রাসেলসে পোশাক শিল্পের সাথে জড়িতদের সাথেও সাক্ষাৎ করেন এবং সেখানে থাকা বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেন।