বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘস্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা, তাদের ‘মুক্ত ও অবাধ ইন্দো-প্যাসিফিক’-এর জন্য সহায়ক হবে।
বুধবার ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাস জানিয়েছে, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ভাসান চরে তাদের কার্যক্রমে সহায়তা করার জন্য প্রথম দাতা হিসেবে জাপান ইউএনএইচসিআর এবং ডব্লিউএফপিকে ২০ লাখ মার্কিন ডলার অর্থায়ন করেছে।
তারা আরও জানিয়েছে, মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টা চালিয়ে কক্সবাজার ও ভাসান চরের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উন্নত জীবনযাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে আরও সহযোগিতা করবে জাপান।
সম্প্রতি রাষ্ট্রদূত নাওকি ভাসানচর পরিদর্শন করেন। যেখানে ২৫ হাজারেরও বেশি ‘রোহিঙ্গা’ শরণার্থী বসবাস করে।
জাইকা বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি ইউহো হায়াকাওয়াও দুই দিনের এই মিশনে যোগ দেন।
এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল জাপানের অর্থায়নের অধীনে চলমান কার্যক্রমের পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যতে জাইকার সম্ভাব্য দ্বিপক্ষীয় সহায়তা অন্বেষণ করা।
জাপান সফরের একই দিনে দ্বীপে স্থানান্তরিত দুই হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গাসহ প্রতিনিধি দলটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এলসিইউতে ভাসানচরে চলে যায়।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাস দমনে র্যাবের ভূমিকা স্বীকৃত, তবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সময় লাগবে: ব্লিনকেন