মঙ্গলবার রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোনের সাথে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিস্তার পানি ভাগাভাগি চুক্তি প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে জয়শংকর বলেন, ‘আমাদের একটা অবস্থান রয়েছে। আমরা সেই অবস্থানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেখানে কোনো পরিবর্তন হবে না...’
এ সময় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে দক্ষিণ এশিয়ার রোল মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পাশাপাশি, আসামের ‘ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার অব সিটিজেন (এনআরসি)’ কে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে বেলা ১১টা ১০ মিনিটে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠক শুরুর আগে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যান এবং সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
দুপুরে তার (জয়শংকর) সম্মানে ড. মোমেনের দেয়া দুপুরের খাবার শেষে বিকাল ৫টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করবেন এস জয়শংকর।
সন্ধ্যায় তার সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করবেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস।
মন্ত্রী হিসেবে প্রথম বাংলাদেশ সফর শেষ করে বুধবার সকালে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন জয়শংকর।
মন্ত্রী হিসেবে জয়শংকরের প্রথম বাংলাদেশ সফরকে ড. মোমেন ‘সৌজন্য সফর’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তবে এতে দুই পক্ষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে পারে, যার মধ্যে থাকছে- যোগাযোগ, পানিবণ্টন ও রোহিঙ্গা সংকট।
সোমবার রাতে বাংলাদেশ আসা জয়শংকর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ভালো ও দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের সম্পর্ককে আরও উচ্চ পর্যায়ে নেয়ার জন্য অনেক বিষয়ে অলোচনা করার মতো রয়েছে।’
উল্লেখ, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী অক্টোবরে ভারত সফর করবেন।
তিনি ৩-৪ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে যোগ দেবেন বলে এক কূটনৈতিক সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে।