উপমহাদেশের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী এক শোকবার্তায় বলেন, ‘এই সুরসম্রাজ্ঞীর মৃত্যুতে উপমহাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে এক বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি হলো।’
তিনি বলেন, লতা মঙ্গেশকর তাঁর কর্মের মধ্য দিয়ে চিরদিন এ অঞ্চলের মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এদিকে, বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এক শোক বার্তায় স্পিকার মরহুমার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা এবং তার শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
আরও পড়ুন: চলে গেলেন সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর
প্রসঙ্গত, টানা প্রায় চার সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ রবিবার সকালে ভারতের মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন লতা মঙ্গেশকর। তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
ভারতীয় সংগীতের কিংবদন্তি লতা মঙ্গেশকরের ক্যারিয়ার শুরু ১৯৪২ সালে একটি মারাঠি ছবির গান রেকর্ডের মধ্য দিয়ে। ১৯৭৪ সালে সবচেয়ে বেশি গান রেকর্ড করার নিরিখে ‘গিনেস বুকে’ নাম উঠেছিল লতা মঙ্গেশকরের। ১৯৪৮ থেকে ১৯৭৪ সালের মধ্যে ২৫ হাজারের বেশি গান রেকর্ড করার অনন্য নজির গড়েন প্রায় ৩৬টি ভাষায় গান করা এ শিল্পী। ২০০১ সালে তাকে ভারতের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা 'ভারতরত্ন' সম্মানে ভূষিত করা হয়। ১৯৮৯ সালে তিনি 'দাদাসাহেব ফালকে' পুরস্কার অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত লতা মঙ্গেশকর আইসিইউতে