লতা মঙ্গেশকর
বর্ণিল আয়োজনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শনিবার বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর উপস্থিতিতে বিকাল ৪টায় একাডেমির নন্দনমঞ্চে জাতীয় পতাকা ও একাডেমির পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এছাড়া বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্ববৃহৎ প্রতিকৃতি প্রদর্শনীর উদ্ধোধন করা হয়। যা চলবে ৭ মার্চ পর্যন্ত। জাতীয় চিত্রশালার দুই ও তিন নং গ্যালারিতে উদ্ধোধন করা হয় সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কার্যক্রম নিয়ে ১০ দিনব্যাপী প্রদর্শনী। এটি চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়ে তানভীর তারেকের ‘স্মৃতিদহন’তাছাড়া বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে একাডেমির সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত ২৪টি বইয়ের পাঠ উন্মোচন করা হয়।
আলোচনা পর্বের পর সাংকৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রথমেই স্নাতা মাহরিনের পরিচালনা ও লিয়াকত আলী লাকীর ভাবনা ও পরিকল্পনায় ‘শুভেচ্ছা ভালোবাসা’ শিরোনামে নৃত্য পরিবেশন করে একাডেমির নৃত্যশিল্পীবৃন্দ।একাডেমির সংগীত শিল্পীদের পরিবেশনায় প্রয়াত পাঁচ প্রখ্যাত গুণীশিল্পী লতা মঙ্গেশকর, বাপ্পি লাহিড়ি, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, সুবীর নন্দী ও এন্ড্রোকিশোরের গান নিয়ে ট্রিবিউট পরিবেশনা করা হয়।
আরও পড়ুন: গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ ইতিহাসের এক অসাধারণ দলিল: জাফর ইকবাল
২ বছর আগে
বাংলা গানের স্বর্ণযুগের শেষ তারকা সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়
আধুনিক বাংলা গানের জীবন্ত দলিল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। এছাড়াও নজরুলগীতি, রবীন্দ্রসঙ্গীত, শাস্ত্রীয়সঙ্গীত, লঘু শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ও হিন্দি চলচ্চিত্রেও ছিল তার বিস্তৃতি। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে আধুনিক বাংলা গানের অন্যতম এই গায়িকার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। এই প্রয়াত কিংবদন্তির জন্ম ৪ অক্টোবর ১৯৩১ সালে।
১২ বছর বয়সে প্রথম গান
কলকাতা আকাশবাণীর ‘গল্পদাদুর আসর’-এ ১২ বছর বয়সে প্রথম গেয়েছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। সেখান তার প্রথম পারিশ্রমিক ছিল পাঁচ টাকা। এক বছর পর তার প্রথম বেসিক রেকর্ড প্রকাশ হয় এইএমভির ব্যানার থেকে। গানের কথা ও সুর করেছিলেন গিরিন চক্রবর্তী। এক দিকে ‘তুমি ফিরায়ে দিয়ে যারে’, উল্টো পিঠে ‘তোমারো আকাশে ঝিলমিল করে চাঁদের আলো।’ এরপর আর থেমে থাকতে হয়নি তাকে। দুই বছরের মধ্যে বাংলা সিনেমায় গানের সুযোগ পান তিনি। প্রথম ‘অঞ্জননগড়’ এর সংগীত পরিচালক ছিলেন রাইচাঁদ চট্টোপাধ্যায়।
পরিবার ছিল সন্ধ্যার সংগীতের হাতেখড়ি
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের বাবা নরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ও মা হেমপ্রভা দেবী। ছয় সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন সবচেয়ে কনিষ্ঠ। সন্ধ্যার বাবা ছিলেন কৃষ্ণভক্ত। বাবার কাছেই প্রথম গান শেখা। সন্ধ্যার মা-ও গান গাইতেন। নিধুবাবুর টপ্পা ছিল প্রিয়। মায়ের গানে মুগ্ধ হতেন সন্ধ্যা। ভাবতেন, না শিখে একজনের গলায় এত সূক্ষ্ম কাজ আসে কী করে!
আরও পড়ুন: কিংবদন্তি গায়িকা সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় আর নেই
শচীন দেববর্মনের হাত ধরে বোম্বে যাত্রা
৪০’র দশকের শেষের কথা। এক সিনেমার গান রেকর্ডিং করে বাড়ি ফিরেছেন সন্ধ্যা। শচীন দেববর্মনের পরিচিত এক ব্যক্তি সন্ধ্যার বাড়িতে এসে জানান শচীন দেব তাকে বম্বে নিতে চান। এমনি তার স্ত্রী মীরা দেব সন্ধ্যার গান শুনতে চেয়েছিলেন। আর শুনেই ভালো লাগে তার। শচীনদেব নিয়ে গেলেও মুম্বাইয়ে প্রথম ‘তারান’ সিনেমায় প্লেব্যাকের সুযোগ হল অনিল বিশ্বাসের সুরে।
সন্ধ্যার সঙ্গে প্রায় দেখা করতেন লতা মঙ্গেশকর
অনিলের সুরে ‘তারানা’ সিনেমায় লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে সন্ধ্যার পরিচয়। ‘বোল পাপিহে বোল রে, তু বোল পাপিহে বোল’ গানটিতে অভিনেত্রী মধুবালার লিপে লতার কণ্ঠ। সন্ধ্যার কণ্ঠ ছিল শ্যামার লিপে। পরিচয়ের কিছু দিনের মধ্যেই লতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব হয়ে যায় সন্ধ্যার। লতা প্রায়ই আসতেন এভারগ্রিন হোটেলে সন্ধ্যার কাছে। সাধারণ বেশভূষা, আন্তরিক ব্যবহার। লতাকে ভালো লেগেছিল সন্ধ্যার। লতার সঙ্গে গান নিয়ে নানা আলোচনা হতো। পরবর্তীতে সন্ধ্যার ঢাকুরিয়ার বাড়িতেও এসেছেন লতা।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গেয়েছেন সন্ধ্যা
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে ফিরে আসেন স্বাধীন বাংলার মাটিতে। এই ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তনকে স্মরণীয় করতে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় গাইলেন ‘বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে’। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি গানটি প্রথম প্রচারিত হয় আকাশ বাণীতে।
আরও পড়ুন: সংগীতশিল্পী বাপ্পি লাহিড়ী আর নেই
সফলতার ঝুলিতে অনেক পুরস্কার
'আমাদের ছুটি ছুটি' এবং 'ওরে সকল সোনা মলিন' হল গান দুটির জন্য ১৯৭১ সালে সেরা নারী প্লে ব্যাক সিঙ্গার ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। তাছাড়া ১৯৬৫ ও ১৯৭২ সালে দু’বার পেয়েছেন বিএফজেএ অ্যাওয়ার্ড। ১৯৯৯ সালে তাঁর ঝুলিতে এসেছে ভারত নির্মাণ লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড। ২০১১ সালে তাকে বঙ্গ বিভূষণ সম্মান দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
ফিরিয়ে দিয়েছেন ‘পদ্মশ্রী’
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে ফোন দিয়ে বলা হয় ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে তাকে সম্মানিত করা হচ্ছে। কিন্তু প্রয়াত এই কিংবদন্তি জানিয়ে দিয়েছিলেন এই সম্মান গ্রহণ করবেন না তিনি। পদ্মশ্রী প্রত্যাখান করার কারণ হিসেবে এক প্রতিক্রিয়ায় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় গণমাধ্যমে বলেছিলেন, ‘এভাবে কেউ পদ্মশ্রী দেয়? এরা জানে না আমি কে? ৯০ বছরে আমায় শেষে পদ্মশ্রী নিতে হবে? আর এই ফোন করে বললেই চলে যাব আমি?’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলে দিয়েছি, আমার পদ্মশ্রীর কোনো দরকার নেই। শ্রোতারাই আমার সব। ‘আমার শরীরটা বেশ খারাপ। আমাকে পদ্মশ্রী নেয়ার কথা বলা হয়েছিল, দিল্লি থেকে ফোন করা হয়েছে। আমি বলেছি, না আমি পারব না এই সম্মান নিতে যেতে। তারা কারণ জানতে চায়, আমি বলেছি, আমার মন চাইছে না।’
আরও পড়ুন: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০ পাচ্ছেন যারা
২ বছর আগে
সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর: ভারতীয় সংগীতের জগতে অবিস্মরণীয় উজ্জ্বল নক্ষত্র
“ফুরালো প্রাণের মেলা, শেষ হয়ে এলো বেলা” যেন গানটির এই কথার পথ ধরেই ফিরে গেলেন আপন নীড়ে গানটির শিল্পী কোকিলকোন্ঠী লতা মঙ্গেশকর। দীর্ঘ ২৮ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন এই সুরসম্রাজ্ঞী। শত পার্থিব পুরস্কারের ম্লান তেপান্তরে তাঁর সব থেকে অমূল্য বিষয়টি হচ্ছে, এখনো কোটি সঙ্গীতপ্রেমিদের কানে গুনগুন করে বাজে তাঁর কন্ঠটি। ভারতের নাইটিঙ্গেল খ্যাত এই বৈচিত্রপূর্ণ গানের পাখির বর্ণাঢ্য সঙ্গীত জীবনকে উদ্দেশ্য করেই আজকের ফিচার।
ব্যক্তি জীবনে একজন লতা মঙ্গেশকর
মারাঠি সঙ্গীত পরিবারে মেয়ে লতা মঙ্গেশকরের জন্ম ১৯২৯ এর ২৮ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ-অধীন ভারতের ইন্দো প্রদেশে, যেটি বর্তমানে মধ্য প্রদেশ হিসেবে পরিচিত। বাবা দীনানাথ মঙ্গেশকর ছিলেন মারাঠি এবং কোঙ্কনি সঙ্গীতের ধ্রুপদী গায়ক এবং থিয়েটার অভিনেতা। মা শেবন্তী ছিলেন একজন গুজরাটি মেয়ে।
জন্মের সময় লতার নাম রাখা হয়েছিল ‘হেমা’। তার বাবা-মা পরে তাঁর বাবার একটি নাটকের নারী চরিত্র লতিকার নামানুসারে তাঁর নাম পরিবর্তন করে লতা রাখেন।
পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে লতা সবার বড় এবং তাঁর ভাইবোন মীনা, আশা, ঊষা এবং হৃদয়নাথ, প্রত্যেকেই দক্ষ গায়ক এবং সঙ্গীতজ্ঞ।
লতা তাঁর প্রথম সঙ্গীত শিক্ষা লাভ করেন বাবার কাছ থেকে। পাঁচ বছর বয়সে তিনি তাঁর বাবার সঙ্গীত নাটকে অভিনেত্রী হিসেবে কাজ শুরু করেন।
আরও পড়ুন: চলে গেলেন সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর
লতা মঙ্গেশকর-এর সঙ্গীত শিল্পী হয়ে ওঠার গল্প
১৯৪২ সালে লতার বয়স যখন মাত্র ১৩, তখন তার বাবা হৃদরোগে মারা যান। নবযুগ চিত্রপট সিনেমা কোম্পানির মালিক এবং মঙ্গেশকর পরিবারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মাস্টার বিনায়ক দামোদর কর্ণাটকি তাদের দেখাশোনা করতেন। মুলত তাঁর হাত ধরেই লতার প্রথমে অভিনয় এবং পরবর্তীতে সঙ্গীত জগতে পদার্পন ঘটে।
১৯৪৮ সালে বিনায়কের মৃত্যুর পর, তৎকালীন প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক গোলাম হায়দার তাকে শিল্পী হওয়ার জন্য দিক-নির্দেশনা দিতেন। তিনি লতাকে প্রযোজক শশধর মুখার্জির কাছে নিয়ে আসেন। মুখার্জি তখন শহীদ (১৯৪৮) চলচ্চিত্রের জন্য শিল্পী খুঁজছিলেন। তিনি লতার কণ্ঠকে "খুব চিকন" বলে উড়িয়ে দেন। এতে হায়দার বিরক্ত হয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন যে আগামী দিনে প্রযোজক এবং পরিচালকরা "লতার পায়ে পড়ে তাদের চলচ্চিত্রে গান গাওয়ার জন্য ভিক্ষা করবেন"।
হায়দার লতাকে মজবুর (১৯৪৮) চলচ্চিত্রে গান গাওয়ার সুযোগ করে দেন, যেখানে তাঁর "দিল মেরা তোড়া, মুঝে কাহিন কা না ছোরা" গানটি ছিলো তাঁর জীবনের প্রথম সফল চলচ্চিত্রের গান।
পড়ুন: লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে সঙ্গীতাঙ্গনে বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি হলো: প্রধানমন্ত্রী
লতা মঙ্গেশকর-এর সঙ্গীত জীবন: সঙ্গীতের সোনালী অধ্যায়
বাংলা গানে লতার আত্মপ্রকাশ হয়েছিল ১৯৫৬ সালে "আকাশ প্রদীপ জ্বলে" হিট গানের মাধ্যমে। ১৯৫০-এর দশকের শেষের দিকে প্রকাশিত হয় "যারে উড়ে যারে পাখি", "না যেওনা" এবং "ওগো আর কিছু তো নয়"-এর মতো তাঁর কয়েকটি হিট গান।
১৯৫৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মধুমতি সিনেমার গান "আজা রে পরদেশী" এর জন্য শ্রেষ্ঠ মহিলা প্লে-ব্যাক শিল্পী হিসেবে জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন লতা মঙ্গেশকর।
১৯৬০-এর দশকে তাঁর সেরা বাংলা গানগুলো ছিল "একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি", "সাত ভাই চম্পা", "কে প্রথম দেখেছি", "নিঝুম সন্ধ্যা", "চঞ্চল মন আনমোনা," "আষাঢ় শ্রাবণ," "বলছি তোমার কানে কানে", এবং "আজ মন চেয়েছে"।
১৯৬০-এর ছবি মুঘল-ই-আজম-এ লতার গাওয়া "পিয়ার কিয়া তো ডারনা কিয়া" গানটি এখনও বিখ্যাত।
১৯৬২ সালে "কাহিন দীপ জালে কাহিন দিল" গানের জন্য তিনি তাঁর দ্বিতীয় ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে ভূষিত হন।
২ বছর আগে
লতা মঙ্গেশকর: ভারতের নাইটিঙ্গেলের মৃত্যুতে ঢালিউডেও শোকের ছায়া
উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যতে সারা বিশ্বের সঙ্গীতপ্রেমীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঢালিউডের এই সুর সম্রাজ্ঞীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ঢালিউডের শিল্পীরাও।
রবিবার ৯২ বছর বয়সে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এই কিংবদন্তি শিল্পী। রবিবার বাংলাদেশের বিনোদন জগতের অনেকেই তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই সুর সম্রাজ্ঞীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
বর্তমানে ঢালিউডের সবচেয়ে বড় সুপারস্টার শাকিব খান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে সদ্যপ্রয়াত এই কিংবদন্তির প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা প্রকাশ করে লিখেছেন, তার অঙ্গনে তিনি একজন সত্যিকার কিংবদন্তি ছিলেন। খুবই দুঃখজনক যে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। কিন্তু তার সুর ও সঙ্গীত আমাদের হৃদয় ও অন্তরে আজীবন বেঁচে থাকবে! #রেস্ট ইন পিস #লতামঙ্গেশকর।
বাংলাদেশের কিংবদন্তি অভিনেত্রী এবং সংসদ সদস্য সুবর্ণা মোস্তফা লিখেছেন, নাইটিঙ্গেল আর নেই... শান্তিতে থাকুন লতা মঙ্গেশকর... আপনি আপনার সঙ্গীত দিয়ে লাখো মানুষের হৃদয় পূর্ণ করেছেন। আপনি চিরকাল আমাদের মাঝে থাকবেন.. গভীর শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা।
আইকনিক গায়ক কুমার বিশ্বজিৎ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, একজনই লতা মঙ্গেশকর। শারীরিকভাবে আজ পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেও তিনি আমাদের মাঝে অমর হয়ে থাকবেন। তার জাদুকরী কণ্ঠের কাছে আমরা চির ঋণী থাকব। তার আত্মা শান্তি পাক।
গায়িকা ও সাংবাদিক এলিটা করিম লিখেছেন, আজ বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের শোকের দিন। জ্ঞান ও সঙ্গীতের দেবী সরস্বতী তার নিজ আবাসে ফেরার সময় রানীকে নিয়ে গেছেন। # ৯২ বছর বয়সে লতা মঙ্গেশকর কিছুক্ষণ আগে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নাইটিঙ্গেল যিনি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সঙ্গীতশিল্পীদের অনুপ্রাণিত করেছেন, তিনি মারা গেছেন। আপনার সঙ্গীতের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি আমাদের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।
আরও পড়ুন: লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে ভারতজুড়ে মাতম
বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী আঁখি আলমগীর তার ফেসবুক প্রোফাইলে তার, তার মা কিংবদন্তি গায়িকা রুনা লায়লা ও প্রয়াত লতা মঙ্গেশকরের একটি ছবি শেয়ার করেছেন। ছবিটি ২০১৭ সালের ২৭ মার্চ মুম্বাইতে লতাজীর বাসভবন প্রভু কুঞ্জে তোলা হয়েছিল।
আঁখি আলমগীর লিখেছেন, শ্রদ্ধা। ঠান্ডা লাগছে, অসাড় লাগছে।
জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব লিখেছেন, একটা যুগের শেষ হলো। কিংবদন্তি গায়িকা লতা মঙ্গেশকর ৯২ বছর বয়সে মারা গেছেন। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।
দেশের অন্যতম দর্শকনন্দিত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব চঞ্চল চৌধুরী এই কিংবদন্তি গায়িকাকে ‘সঙ্গীতের দেবী’ বলে উল্লেখ করেছেন। এই সুর সম্রাজ্ঞীর প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, বিদায়, প্রিয় 'সঙ্গীতের দেবী' লতা মঙ্গেশকর।
একজন শ্রোতা হিসেবে তার স্মৃতিচারণ করে সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনেতা জন কবির লিখেছেন, শান্তি কামনা করি। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আপনার কণ্ঠ শুনে অনেকদিন আমার ঘুম ভেঙেছে। এর কৃতিত্ব আমার মায়ের।
এই সেলিব্রেটিরা ছাড়াও, বিভিন্ন ঘরানার বিপুল সংখ্যক সঙ্গীত শিল্পী, চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন অভিনেতা-পরিচালক এবং সর্বস্তরের মানুষ কিংবদন্তি গায়িকার প্রয়াণে তাদের গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে সঙ্গীতাঙ্গনে বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি হলো: প্রধানমন্ত্রী
চলে গেলেন সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর
২ বছর আগে
লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে সঙ্গীতাঙ্গনে বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি হলো: প্রধানমন্ত্রী
উপমহাদেশের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী এক শোকবার্তায় বলেন, ‘এই সুরসম্রাজ্ঞীর মৃত্যুতে উপমহাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে এক বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি হলো।’
তিনি বলেন, লতা মঙ্গেশকর তাঁর কর্মের মধ্য দিয়ে চিরদিন এ অঞ্চলের মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এদিকে, বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এক শোক বার্তায় স্পিকার মরহুমার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা এবং তার শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
আরও পড়ুন: চলে গেলেন সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর
প্রসঙ্গত, টানা প্রায় চার সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ রবিবার সকালে ভারতের মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন লতা মঙ্গেশকর। তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
ভারতীয় সংগীতের কিংবদন্তি লতা মঙ্গেশকরের ক্যারিয়ার শুরু ১৯৪২ সালে একটি মারাঠি ছবির গান রেকর্ডের মধ্য দিয়ে। ১৯৭৪ সালে সবচেয়ে বেশি গান রেকর্ড করার নিরিখে ‘গিনেস বুকে’ নাম উঠেছিল লতা মঙ্গেশকরের। ১৯৪৮ থেকে ১৯৭৪ সালের মধ্যে ২৫ হাজারের বেশি গান রেকর্ড করার অনন্য নজির গড়েন প্রায় ৩৬টি ভাষায় গান করা এ শিল্পী। ২০০১ সালে তাকে ভারতের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা 'ভারতরত্ন' সম্মানে ভূষিত করা হয়। ১৯৮৯ সালে তিনি 'দাদাসাহেব ফালকে' পুরস্কার অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত লতা মঙ্গেশকর আইসিইউতে
২ বছর আগে
চলে গেলেন সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর
কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর আর নেই। ৯২ বছর বয়সী এই সুরসম্রাজ্ঞী রবিবার সকালে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে মারা যান।
বিবিসি জানায়, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর জানুয়ারির শুরুর দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল খ্যাতিমান এই শিল্পীকে।
রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
লতা মঙ্গেশকর এক হাজারেরও বেশি ভারতীয় ছবিতে গান করেছেন। এছাড়া ভারতের ৩৫টি আঞ্চলিক ও বিদেশি ভাষায় গান গাওয়ার একমাত্র রেকর্ডটি তারই।
এই শিল্পী ১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তৎকালীন ইন্দোর রাজ্যের রাজধানী ইন্দোরে (বর্তমান মধ্যপ্রদেশ) জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৮৯ সালে ভারত সরকার তাকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে ভূষিত করেন। তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০১ সালে তাকে ভারতের সর্বোচ্চ সম্মাননা ভারতরত্নে ভূষিত করা হয়। এম. এস. সুব্বুলক্ষ্মীর পর এই পদক পাওয়া তিনিই দ্বিতীয় সঙ্গীতশিল্পী।
১৯৭৪ সালে লতা মঙ্গেশকর প্রথম ভারতীয় হিসেবে রয়্যাল অ্যালবার্ট হলে সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত লতা মঙ্গেশকর আইসিইউতে
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৩৯ কোটি ২৯ লাখ ছাড়িয়েছে
ভারতে বেকারত্বের হার কমে ৬.৫৭ শতাংশ
২ বছর আগে
করোনা আক্রান্ত লতা মঙ্গেশকর আইসিইউতে
কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর করোনা আক্রান্ত হয়ে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
শিল্পীর ভাইঝি রচনা মঙ্গলবার স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পর ৯২ বছর বয়সী সুরসম্রাজ্ঞীকে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
রচনা বলেন, ‘তার স্বাস্থ্য বর্তমানে স্থিতিশীল আছে। তবে বয়স বিবেচনায় চিকিৎসকরা আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন তাকে আইসিইউতে রাখার জন্য। বয়সের কারণে সুস্থ হতে একটু সময় লাগবে।’
আরও পড়ুন: ইন্ডাস্ট্রিকে কর্মমুখর করে গড়ে তুলতে চাই: ইলিয়াস কাঞ্চন
লতা মঙ্গেশকর এক হাজারেরও বেশি ভারতীয় ছবিতে গান করেছেন। এছাড়া ভারতের ৩৫টি আঞ্চলিক ভাষাতে ও বিদেশি ভাষায় গান গাওয়ার একমাত্র রেকর্ডটি তারই।
খ্যাতিমান এই শিল্পিী ১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তৎকালীন ইন্দোর রাজ্যের রাজধানী ইন্দোরে (বর্তমান মধ্যপ্রদেশ) জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৮৯ সালে ভারত সরকার তাকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে ভূষিত করেন। তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০১ সালে তাকে ভারতের সর্বোচ্চ সম্মাননা ভারতরত্নে ভূষিত করা হয়। এম. এস. সুব্বুলক্ষ্মীর পর এই পদক পাওয়া তিনিই দ্বিতীয় সঙ্গীতশিল্পী।
১৯৭৪ সালে লতা মঙ্গেশকর প্রথম ভারতীয় হিসেবে রয়্যাল অ্যালবার্ট হলে সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
আরও পড়ুন: করোনামুক্ত হয়ে আইসিইউ থেকে কেবিনে সোহেল রানা
২ বছর আগে