মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘জেন্ডার রেসপন্সিভ বাজেটের মূল লক্ষ্য বৈষম্য হ্রাস ও সুযোগের সমতা সৃষ্টি। যার মাধ্যমে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করে একটি সমতাপূর্ণ সমাজ ও রাষ্ট্র গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল সৃষ্টি করেছে। সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় ১৫৩ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। এছাড়াও এশিয়াতে শীর্ষে অবস্থান করছে। এখানে ভারতের অবস্থান ১১২তম। আমেরিকা, জাপান, চীনসহ আরও অনেক শিল্পোন্নত এবং পরাশক্তি দেশই বাংলাদেশের পেছনে।’
আরও পড়ুন: নেতাকর্মীদের শীতার্ত মানুষের পাশে থাকার আহ্বান শিল্প প্রতিমন্ত্রীর
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে শিশু একাডেমি মিলনায়তনে ‘স্ট্রেনদেনিং জেন্ডার রেসপন্সিভ বাজেটিং’ প্রকল্পের আওতায় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে উইমেন ইন ডেভেলপমেন্ট (উইড) ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তাদের সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পর্যটন করপোরেশনকে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করতে হবে: প্রতিমন্ত্রী
জেন্ডার বাজেট বৃদ্ধির হার উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৯-১০ অর্থবছরে বাজেট ছিল ২৭ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এ বাজেট ১ লাখ ৬১ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ৩০ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং জিডিপির ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। গত ১০ বছরে বরাদ্দ বেড়েছে ৫ গুণ, মন্ত্রণালয় বেড়েছে ৩৯টি।
আরও পড়ুন: মেহেরপুর হবে শিক্ষা নগরী: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, জেন্ডার বাজেটের যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে নারীর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতায়ন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে লিঙ্গ সমতা, শিশু ও মাতৃ মৃত্যু হ্রাস এবং স্বাস্থ্য ও টিকাদানের ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারীর আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে তাদের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন দৃশ্যমান হয়। এ জন্য দরকার নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা ও সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সরকারের পৃষ্টপোষকতা এবং আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করা। সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে জেন্ডার রেসপন্সিভ বাজেট বাস্তবায়ন করে আসছে।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, ৪৩ মন্ত্রণালয় তিনটি গুচ্ছে নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। নারীর ক্ষমতায়ন ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধিতে নয় মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আর উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শ্রমবাজার ও আয়বর্ধক কাজে নারীর অধিকতর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নয় মন্ত্রণালয় এবং সরকারি সেবা প্রাপ্তিতে নারীর সুযোগ বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে সরকারের ২৫ মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পায়ন জোরদারে বিসিকের কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশনা শিল্প প্রতিমন্ত্রীর
সভায় ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তারা নারী উন্নয়নে গৃহীত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প ও নারী উন্নয়ন নীতি বাস্তবায়নে জাতীয় কর্মপরিকল্পনার হালনাগাদ অগ্রগতি তুলে ধরেন।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তারের সভাপতিত্বে সভায় ৪৩ মন্ত্রণালয়ের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তারা, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দপ্তর ও সংস্থার প্রধান এবং বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।