পদ্মা বহুমুখী সেতুকে সাহসিকতার নিদর্শন হিসেবে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। তিনি দুরদর্শী নেতৃত্ব এবং শত বিপত্তি পেরিয়ে ‘স্বপ্নের পদ্মা সেতু’ নির্মাণের সংকল্প সফল করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন।
তিনি বলেন,‘এটা একটি অভাবনীয় সাফল্য। বাংলাদেশের জন্য এটা হবে অত্যন্ত গর্বের দিন (২৫ জুন)। এখন আর বাংলাদেশের সক্ষমতা নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন করতে পারবে না ।’
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণের সত্যিকার গৌরব অর্জন করা জনগণের একজন ‘সত্যিকারের প্রতিনিধি’।
রাষ্ট্রদূত লি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সুস্পষ্ট অবদান রেখেছেন। কেননা এর জন্য ‘চুড়ান্ত রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও রাজনৈতিক সাহস’-থাকা প্রয়োজন (নিজেদের অর্থায়নে এত বৃহৎ একটা ব্রিজ নির্মাণ করা)।
রবিবার এই মেগা প্রজেক্ট সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, কোনো দেশের সাধারণ কোনো নেতা এত কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়ার সাহস দেখাবে কিনা, এ বিষয়ে আমার সন্দেহ আছে; আমার সত্যিই সন্দেহ আছে।
এই সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সময় ঘনিয়ে আসায় চীনা রাষ্ট্রদূত লি বাংলাদেশ সরকার ও এ দেশের জনগণকে তার এবং তার দেশের পক্ষ থেকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ এই সেতুটির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারায় বিশেষভাবে গর্বিত। এটিকে তারা (পদ্মা সেতু) শুধুমাত্র চীনা কোম্পানির নির্মিত একটি সেতু হিসেবে দেখছে না বরং তারা এটিকে ‘বাংলাদেশ-চীনের সহযোগিতার মাইলফলক’ হিসেবে দেখছে।
তিনি বিশ্বাস করেন, এই সেতুতে যাতায়াত চালু হলে দেশের জনগণ উপকৃত হবে। দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধিতেও এটি অবদান রাখবে। এছাড়া এটি চীন ও বাংলাদেশের মধ্যকার ভ্রাতৃত্বের বন্ধনের চিরস্থায়ী স্মারক হয়ে থাকবে।
আমি যখনই এই সেতুটার কথা ভাবি আমার মনে তিনটি শব্দ আসে: সাহস, সংকল্প এবং উন্নয়ন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীনের বাইরে কোনো চীনা কোম্পানির নির্মিত সর্বোচ্চ সেতু হলো পদ্মা সেতু। ‘তাই আমি মনে করি এই সেতু নির্মাণ চীনের জন্যও একটা চ্যালেঞ্জ ছিল।’
রাষ্ট্রদূত সে সময়ের কথা স্মরণ করেন, যখন বাংলাদেশ সরকার সেতুটি নির্মাণের পরিকল্পনা করছিল এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আর্থিক, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও বৈধতা নিয়ে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: বন্যার ক্ষতি এড়াতে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী পররাষ্ট্রমন্ত্রী