শনিবার তিনি বলেন, `‘জাতির পিতা প্রবর্তিত ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়’ এই মূলমন্ত্রে বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতিমালা পরিচালিত হয়। বাংলাদেশ প্রতিবেশী সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাস করে। তবে, যে কোনো আগ্রাসী আক্রমণ থেকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমরা সদাপ্রস্তুত ও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।’’
প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতারের প্রচারিত ধারণকৃত বক্তব্যে এ কথা বলেন। দেশের অন্যান্য বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিওগুলোতেও প্রায় ১৩ মিনিট দৈর্ঘ্যের এ ভাষণটি সম্প্রচারিত হয়।
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার লক্ষ্যকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধুর প্রতিরক্ষানীতি ১৯৭৪-এর আলোকে সরকার ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করেছে, বলেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় সশস্ত্র বাহিনীকে সাংগঠনিকভাবে পুনর্গঠন, উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান এবং বিশেষায়িত সামরিক সজ্জায় সজ্জিত করা হচ্ছে।
গত এক দশকে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি শাখাকে আধুনিক সমরাস্ত্র এবং উপকরণে সমৃদ্ধ করেছে, উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
‘আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, আমাদের সরকারের আমলে সশস্ত্র বাহিনী যে পরিমাণ আধুনিকায়ন হয়েছে অতীতে কোনো সময়েই তা হয়নি,’ বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী সংক্ষেপে সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম এবং পেশাগত দক্ষতায় বলীয়ান হয়ে দেশের প্রতিরক্ষা এবং দেশ গড়ার কাজে আরও বেশি অবদান রাখবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে কোভিড-১৯ মহামারিসহ দেশের যে কোনো ক্রান্তিলগ্নে সর্বোচ্চ নিষ্ঠা ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করে যাওয়ায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনীর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য আক্রান্ত হয়েঝেন এবং বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, অনেক উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশ কোভিড-১৯ মহামারির কারণে যখন ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধির মুখে পড়েছে, তখন আমাদের প্রবৃদ্ধি ৫.২৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের প্রবাসী আয়, কৃষি উৎপাদন ও রপ্তানি বাণিজ্যে পরিবর্তন এসেছে। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
‘... আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিতে হবে। আমরা জাতির পিতা স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্য এবং নিরক্ষরতা মুক্ত ধর্মনিরপেক্ষ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করব, ইনশাআল্লাহ,’ বলেন তিনি।