মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো আলাদা আলাদা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ ঘটনায় শাবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ কর্মকর্তা পরিষদ, কর্মচারী ইউনিয়ন পরিষদ প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শাবির শিক্ষক-কর্মকর্তাদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিত কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টা এবং আন্তরিকতার ফলশ্রুতিতে স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প চালু করা হয়। ইতোমধ্যে বেশ কিছু সংখ্যক শিক্ষক-কর্মকর্তা এর সুবিধা ভোগ করেছেন। স্বাস্থ্য বিমা চুক্তিটি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকায় তাদের পরিবারের সদস্যদেরও এর আওতায় আনার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানানো হয়। শিক্ষক-কর্মকর্তা বান্ধব এই বিমা চুক্তিটি যখন সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে, ঠিক এমন সময় এই চুক্তির বিরুদ্ধে একটি স্বার্থান্বেষী মহলের মামলা দায়ের করায় শাবি প্রশাসন (কর্মকর্তা-কর্মচারী) এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
এদিকে মামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে শাবি শিক্ষক সমিতি। মঙ্গলবার শাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এস. এম সাইফুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানানো হয়।
যে সকল শিক্ষক মামলা করেছেন তারা এ বিষয়ে তাদের সাথে কোনো ধরনের আলোচনা করেননি বলে দাবি করেন তারা।
এর আগে, গত ১২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য বিমার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ও স্বাস্থ্য বিমায় রাজি না থাকার পরও বেতন থেকে ২৭১ টাকা করে কেটে নেয়ার অভিযোগ এনে শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, হিসাব পরিচালক ও প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বিবাদী করে সিলেট সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাই ও পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি শাবি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর মাঝে স্বাস্থ্য বিমা চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। সারা দেশে ১০০টির বেশি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য বিমার আওতায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তারা স্বাস্থ্যসেবা উপভোগ করবেন। চুক্তি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় এই বিমা কোম্পানিকে জন প্রতি ৬৫০০ টাকা প্রদান করবে। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় অর্ধেক টাকা প্রদান করবে এবং শিক্ষক বা কর্মকর্তাকে অর্ধেক টাকা প্রদান করতে হবে। আর এই অর্ধেক টাকা হিসেবে প্রতি মাসে তাদের বেতন থেকে ২৭১ টাকা কাটা করা হবে।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদেরকে ভর্তির পরপরই স্বাস্থ্য বিমার আওতায় নিয়ে আসা হবে।