তারা হলেন-সিলেটের গোয়াই-টুলার মো. কছির উদ্দিনের ছেলে শামীম আহমেদ (৩৫), সিলেটের কন্টিনেন্টাল অফিস সহকারী বিভাষ চক্রবর্তী (২২) ও প্রান্ত দাশ (৩০)।
এ ব্যাপারে জালালাবাদ থানার ওসি (তদন্ত) মো. শাহ আলম জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে গত কয়েকদিন ধরে কে বা কারা বেনামি শ্বেতপত্র বিতরণ করেছেন। এতে উপাচার্যের বিরুদ্ধে জামাতপ্রীতিসহ ৫৩টি অভিযোগ উল্লেখ করা হয়।
তিনি আরও জানান, গত বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ই বিল্ডিংয়ের সামনে থেকে শ্বেতপত্র বিরতণকালে ১৫টি খামসহ শামীম নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার সার্ভিসের ডেলিভারি ম্যান বলে পরিচয় দেয়। কিন্তু তার কথায় সন্দেহ হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিভাষ ও প্রান্ত দাশের নাম বলেন তিনি। পরে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে শামীমকে কুরিয়ার সার্ভিসের অফিস সহকারী দাবি করেন তারা। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে কোনো প্রকার পরিচয়পত্র দেখাতে না পারায় তাদেরকে সন্দেহভাজন হিসেবে জালালাবাদ থানায় হস্তান্তর করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, এর আগে গেল বছর ১৮ সেপ্টেম্বরে 'শাবিপ্রবির বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বিভিন্ন অপকর্মের শ্বেতপত্র' প্রথম সংখ্যা বের হয়েছিল।